Saturday, March 31, 2012

Website Design


গ্রাফিক রিভার সাইটটি দেখতে হুবহু থিম ফরেস্ট সাইটের মত। প্রকৃতপক্ষে এনভাটোর সকল মার্কেটপ্লেসের বাহ্যিক দিক এবং আভ্যন্তরীণ নিয়ম-কানুন প্রায় একই রকম। পাঁচটি মার্কেটপ্লেসের যে কোন একটিতে রেজিষ্ট্রেশন করে সবগুলো সাইটের মেম্বার হওয়া যায়।গ্রাফিক রিভার মার্কেটপ্লেসটিকে নতুনদের জন্য উপযোগী বলছি তার একটি উল্লেখযোগ্য কারণ রয়েছে। এখানে আপনাকে সাইটের সম্পূর্ণ টেম্পলেট ডিজাইন করতে হবে না, বরং একটি সাইটের বিভিন্ন গ্রাফিক্স আলাদা আলাদা ভাবে তৈরি করে বিক্রি করতে পারবেন।গ্রাফিক্স বলতে এখানে বোঝানো হচ্ছে - ওয়েবসাইটের ব্যাকগ্রাউন্ড, ব্যানার, বাটন, আইকন, রেজিষ্ট্রেশন ও লগইন ফরম, বিজনেস কার্ড, নিউজলেটার ইত্যাদি আরো বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন।


একটি ডিজাইন তৈরি করে সাইটে জমা দেবার পর সাইটের কর্তৃপক্ষ ডিজাইনটি প্রথমে যাচাই বাছাই করে দেখে নেয় কাজটি মানসম্মত কিনা। ডিজাইনটি সাইটের নির্দেশমত তৈরি করা হলে, কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করে ডিজাইনটির একটি দাম নির্ধারণ করে দেয়। ডিজাইনের ধরণ ও কাজের পরিমাণের উপর ভিত্তি করে দাম সর্বনিম্ন ১ ডলার থেকে শুরু করে ২০ ডলার পর্যন্ত হতে পারে। এরপর ডিজাইন বিক্রির ৪০% থেকে ৭০% অর্থ ডিজাইনারকে দেয়া হয়। নতুনদেরকে ৪০% অর্থ দেয়া হয় যা বিক্রি বাড়ার সাথে সাথে পর্যায়ক্রমে ৭০% এ উত্তীর্ণ হয়। প্রথম অবস্থায় দাম শুনতে কম মনে হলেও আসলে একটি ডিজাইন একাধিক ক্লায়েন্টের কাছে বিক্রির সুযোগ রয়েছে। তাই ১ ডলার মূল্যের একটি সামান্য ব্যানার যদি ৪০ থেকে ৫০ বার বিক্রি হয় তাহলে পরিশেষে মোট দাম নেহায়েত কম হয় না। এই ধরনের ছোটখাট কাজ করতে একজন নতুন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের এক দিনের বেশি লাগার কথা নয়।
সাইটের নেভিগেশন বা ব্যবহার পদ্ধতি অত্যন্ত সহজ, সরল এবং পরিকল্পিতভাবে সাজানো। সাইটের বামদিকের কলামের শুরুতেই রয়েছে বিভিন্ন বিভাগ যাতে ক্লিক করে ওই বিভাগের সকল ডিজাইন দেখা ও কেনা যায়। এখানে মূল বিভাগগুলো হচ্ছে - Graphics, Design Templates, Texture, Vectors, Add-ons, Isolated Objects এবং Icons । Graphics বিভাগে রয়েছে ব্যাকগ্রাউন্ড, বাটন, ফরম, ব্যানার এবং একটি ওয়েবসাইটকে সাজানোর বিভিন্ন উপকরণ। Design Templates বিভাগে রয়েছে বিজনেস কার্ড, একটি প্রতিষ্ঠানের পরিচয় বহণকারী স্টেশনারী উপকরণের টেম্পলেট, ফ্লাইয়ার, রেজ্যুমে, ব্রুশিয়র, নিউজলেটার ইত্যাদি। Texture বিভাগে পাওয়া যায় বিভিন্ন ধরনের বস্তু যেমন কাঠ, কাগজ, পাথর, প্রকৃতি, কনক্রিট, মেটাল, তরলবস্তু, ফেব্রিক ইত্যাদির ছবি। এই ছবিগুলো সাধারণত একটি ডিজাইন তৈরি করার সময় ব্যাকগ্রাউন্ড ইমেইজ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। Vector বিভাগে পাওয়া যায় কার্টুন ক্যারেক্টার ও বিভিন্ন বস্তুর ভেক্টর ছবি যা সাধারণত এডোব ইল্যাস্ট্রেটর দিয়ে তৈরি করা হয়। Add-ons বিভাগে রয়েছে ফটোশপ এবং ইল্যাস্ট্রেটরের বিভিন্ন এ্যাকশন, ব্রাশ, স্টাইল, শেপ, টেক্সচার এবং পেটার্নের কালেকশন। Isolated Objects বিভাগে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার্য বস্তুর গ্রাফিক্স পাওয়া যায়। সর্বশেষ Icon বিভাগে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের নজরকাড়া আইকনের সমাহার যা কম্পিউটারের ডেস্কটপ সাজাতে বা একটি ওয়েবসাইটের ডিজাইনকে আকর্ষণীয় করতে ব্যবহৃত হয়। মোট কথা, গ্রাফিক রিভার সাইটের এই অসংখ্য বিভাগের মধ্য থেকে নিজের ইচ্ছেমত যেকোন ধরনের ডিজাইন তৈরি করে বিক্রি করা যায়।

ওয়েবসাইটের বামদিকের কলামে বিভাগের পর আরও যেসকল উল্লেখযোগ্য অংশ রয়েছে সেগুলো হল - Author Program, Referral Program, Asset Library, Forums এবং Blog । ডিজাইনার হিসেবে কাজ শুরু করার পূর্বে Author Program অংশে সাইটের নিয়ম কানুন ভালভাবে জেনে নিতে হবে। তারপর একটি ছোটখাট কুইজে অংশগ্রহণ করে তাতে উত্তীর্ণ হতে হবে। কুইজের উত্তরগুলো "হ্যাঁ" এবং "না" এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ। নিয়মকানুন ভালভাবে পড়ে নিলে পাঁচ মিনিটের মধ্যেই সবগুলো প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেয়া সম্ভব। ডিজাইনার না হয়েও এই সাইট থেকে আয় করা সম্ভব, আর তা হচ্ছে Referral Program এর মাধ্যমে। এনভাটো মার্কেটপ্লেসের পাঁচটি সাইটের যে কোন একটিতে একজন নতুন ক্রেতাকে নিয়ে আসলে, ওই ক্রেতা সর্বপ্রথম যে পরিমাণ অর্থ সাইটে ডিপোজিট বা জমা করবে তার ৩০% আপনি পাবেন। কোন ডিজাইন কেনার পূর্বে এই সাইটে সর্বনিম্ন ২০ ডলার ডিপোজিট করতে হয়। অর্থাৎ একজন নতুন ক্রেতার মাধ্যমে আপনি সর্বনিম্ন ৬ ডলার থেকে ৩০ ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারেন।

একটি ডিজাইন তৈরি করার সময় ডিজাইনে যদি কোন ধরনের ছবি সংযোগের প্রয়োজন হয় তাহলে Asset Library থেকে তা বিনামূল্যে সংগ্রহ করতে পারবেন। এই সাইটে কপিরাইটের নিয়মকানুন খুব কড়াকড়িভাবে মেনে চলা হয়। তাই অন্য যে কোন সাইট থেকে ছবি সংগ্রহ করে তা ডিজাইনের সাথে সরাসরি সংযোগ করতে পারবেন না। এর জন্য হয় ছবিটি কিনতে হবে অথবা ছবির মালিকের যথাযথ অনুমতি সাপেক্ষে ব্যবহার করতে হবে। তবে সবচেয়ে ঝামেলাবিহীণ হচ্ছে সাইটির এ্যাসেট লাইব্রেরী থেকে ছবি সংগ্রহ করা।

সাইটের নিয়মকানুন এবং বিভিন্ন প্রয়োজনীয় তথ্য জানার জন্য Forums অংশে নিয়মিত ভিজিট করুন। আর এনভাটোর কর্তৃপক্ষ পরিচালিত ব্লগে পাবেন গ্রাফিক রিভার সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, বিভিন্ন প্রতিযোগীতার খবর এবং প্রতিমাসে একটি গ্রাফিক্স বিনামূল্যে ডাউনলোডের সুযোগ। গ্রাফিক রিভার সাইটে এই মূহুর্তে আইকন তৈরির একটি প্রতিযোগীতা চলছে যাতে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থান অধিকারীকে ২০০ ডলার করে পুরষ্কার দেয়া হবে।

ওয়েবসাইটে লগইন করার পর উপরের অংশে কয়েকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ লিংক পাওয়া যায়, এগুলো হচ্ছে - Account, Bookmarks, Earning, Upload এবং Deposit । Account অংশটি আরো কয়েকটিভাগে বিভক্ত - Profile, Portfolio, Downloads, Earning, Statements এবং Edit । আপনার Profile এবং Portfolio অংশটি যেকোন মেম্বার দেখতে পারবে। Profile অংশে আপনি আপনার নিজের সম্পর্কে বিস্তারিত লিখবেন যাতে ক্লায়েন্ট আপনার ডিজাইনের পদ্ধতি সম্পর্কে ভাল ধারণা পেতে পারে। আপনি যে সকল ডিজাইন তৈরি করবেন তা Portfolio অংশে প্রদর্শন করা হবে। আপনি যদি অন্য কারো ডিজাইন কিনে থাকেন তাহলে Download অংশ থেকে তা ডাউনলোড করতে পারবেন। Earning অংশে কোন মাসে কত আয় করলেন তার বিস্তারিত বর্ণনা দেখতে পাবেন এবং এই অংশ থেকে আয়কৃত অর্থ উত্তোলন করতে পারবেন। Statement অংশে সাইট থেকে আপনার আয়/ব্যয়ের সম্পূর্ণ বিবরণ পাবেন।

ডিজাইন তৈরি করার নিয়ম:
গ্রাফিক রিভারের জন্য ডিজাইন তৈরি করার সময় অনেকগুলো বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। অন্যথায় কর্তৃপক্ষ ডিজাইনটি গ্রহণ করবে না। ফটোশপ বা ইল্যাস্ট্রেটরে কাজ করার সময় যেসব বিষয় খেয়াল রাখতে হবে তা হল -
  • ডিজাইনের প্রত্যেকটি উপাদানকে আলাদা আলাদা লেয়ারে তৈরি করুন।
  • দুই বা ততোধিক লেয়ারকে মার্জ বা এক লেয়ারে পরিণত করবেন না।
  • লেয়ারগুলোকে সুবিন্নস্ত রাখার জন্য গ্রুপ ব্যবহার করুন। ধরা যাক আপনি কয়েক ধরনের বাটনের একটি সেট তৈরি করছেন। এক্ষেত্রে একই ধরনের বাটনকে একই গ্রুপে রাখতে পারেন।
  • লেয়ারে বিভিন্ন ইফেক্ট ব্যবহার করলে তা কখনও রেস্টারাইজ করবেন না।
  • লেয়ার এবং গ্রুপের অর্থবহ নামকরণ করুন।
  • সকলের কম্পিউটারে থাকে এমন ফন্ট ব্যবহার করুন। যেমন - Arial, Tahoma, Times New Roman, Verdana ইত্যাদি। আর যদি অন্য কোন নতুন ফন্ট ব্যবহার করার প্রয়োজন পড়ে তাহলে ওই ফন্টটি কোন ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করা যাবে তা অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে। বিনামূল্যে ফন্ট সংগ্রহের জন্য www.dafont.com সাইটে ভিজিট করতে পারেন। বিনামূল্যে পাওয়া যায় ফন্টের ক্ষেত্রেও তার উৎস উল্লেখ করতে হবে।
  • কোন কারণে আপনার ডিজাইনটি যদি গ্রহণযোগ্য না হয়, তাহলে কর্তৃপক্ষ তার কারণ ইমেইলের মাধ্যমে আপনাকে জানাবে। এক্ষেত্রে সেই ভুলগুলো সংশোধন করে আবার ডিজাইনটি জমা দিতে পারবেন।
  • কোন ডিজাইন যদি সাইটের অন্য আরেকজনের ডিজাইনের সাথে মিলে যায় তাহলেও কর্তৃপক্ষ আপনার ডিজাইনটি গ্রহণ করবে না। তাই যে কোন ডিজাইন তৈরি করার সময় তাতে বৈচিত্র্য ও নতুনত্ব আনার চেষ্টা করুন।

ডিজাইন জমা দেবার নিয়ম:
ডিজাইন তৈরি করার পর তা জমা দিতে সাইটের উপরের অংশ থেকে Upload নামক লিংকে ক্লিক করুন। ডিজাইন জমা দেবার পূর্বে কুইজে অবশ্যই উত্ত্বীর্ণ হতে হবে। এরপর Upload অংশে প্রত্যেকটি বিভাগের জন্য Instructions, New BETA Upload এবং Old Style Upload নামক তিন ধরনের বাটন দেখতে পাবেন। প্রথমে Instruction অংশটি ভালভাবে পড়ে নিন এবং New BETA Upload বাটনে ক্লিক করে আপলোড শুরু করুন। এই অংশে আপলোড করতে সমস্যা হলে Old Style Upload বাটনে ক্লিক করুন। Upload করার নিয়মগুলো হচ্ছে নিম্নরূপ -
  • প্রথমেই ডিজাইনটির একটি ভাল নাম এবং তার বর্ণনা লিখুন। ডিজাইনটিতে কোন ছবি বা ফন্ট ব্যবহার করলে তা যে ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে তার পূর্ণাঙ্গ লিংক এখানে দিন।
  • এবার ফাইল আপলোডের পালা। সর্বমোট ৪ ধরনের ফাইল আপলোড করতে হবে। এগুলো হল -
    1. Image Preview: ডিজাইনটির ৫৯০ পিক্সেল প্রস্থের একটি JPG ছবি এই অংশে দিতে হবে। এক্ষেত্রে যে কোন উচ্চতা হতে পারে।
    2. Thumbnail: ডিজাইনটির ৮০ x ৮০ পিক্সেলের একটি ছোট JPG ছবি দিতে হবে।
    3. High Res JPG: ডিজাইনটির মূল মাপের একটি উঁচু রেজুলেশনের JPG ছবি দিতে হবে। Vector এর ক্ষেত্রে প্রস্থ সর্বনিম্ন ১২০০ পিক্সেল হতে হবে।
    4. Main File(s): এরপর ফটোশপ বা ইল্যাস্ট্রেটরের সকল ফাইলকে ZIP করে দিতে হবে। কোন ক্রেতা ডিজাইনটি কেনার পর এই ফাইলটিকেই ডাউনলোড করবে।
  • Category: ডিজাইটনটি সুনির্দিষ্ট কোন বিভাগে অন্তর্ভূক্ত তা উল্লেখ করুন।
  • Image Resolution: ডিজাইনটিকে কত রেজুলেশনে তৈরি করেছেন তা উল্লেখ করুন।
  • Layered?: ডিজাইনে বিভিন্ন লেয়ার থাকলে Yes সিলেক্ট করুন।
  • Minimum Application Version: ফটোশপ বা ইল্যাস্ট্রেটরের কোন ভার্সন ব্যবহার করেছেন তা উল্লেখ করুন। গ্রহণযোগ্য ভার্সনগুলো হচ্ছে - CS, CS2, CS3 ও CS4 ।
  • Tag অংশে ডিজাইনটির যথাযথ ট্যাগ বা বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করুন যা সার্চ করার সময় কাজে লাগবে।
  • Comments for the Reviewer: এই অংশটি হচ্ছে সাইটের কর্তৃপক্ষকে মেসেজ দেবার জন্য। আপনার তৈরিকৃত ডিজাইন সম্পর্কে কোন কিছু বলার থাকলে তা এই অংশের মাধ্যমে তাদেরকে জানাতে পারবেন।


সবশেষে আপলোড বাটনে ক্লিক করে কাজটি জমা দিন। জমা দেবার পর আপনার ডিজাইনটি কর্তৃপক্ষের লিস্টে কততম স্থানে রয়েছে তা দেখতে পাবেন। আপলোড করার এক থেকে দুই দিনের মধ্যে ডিজাইনটি যাচাই বাছাই করা হবে। ডিজাইনটি গ্রহণ বা বাতিল হলে তা আপনাকে ইমেইলের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে।

আয়ের অর্থ উত্তোলনের জন্য এই সাইটে তিনটি পদ্ধতি রয়েছে - Paypal, Moneybookers এবং International Money Transfer (SWIFT) । নূন্যতম আয় ৫০ ডলার হলেই Paypal ও Moneybookers দিয়ে উত্তোলন করতে পারবেন। তৃতীয় পদ্ধতির ক্ষেত্রে নূন্যতম আয় হতে হবে ৫০০ ডলার।

গ্রাফিক রিভার তথা এনভাটো মার্কেটপ্লেসে নিয়মকানুন কড়াকড়িভাবে মেনে চলার কারণে এই সাইটগুলোতে সবসময় উন্নতমানের ডিজাইন পাওয়া যায়। আর হয়ত একারনেই ক্রেতা এবং বিক্রেতা মিলে মার্কেটপ্লেসে দুই লক্ষের উপর ব্যবহারকারী রয়েছে। একটি ভাল ডিজাইন তৈরি করতে পারলে তার ফলাফল আপনি সাথে সাথেই পাবেন। মার্কেটপ্লেসে এমন অনেক ডিজাইনার রয়েছেন যাদের ডিজাইন জমা দেবার কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই বিক্রি একশ ছাড়িয়ে যায়। আর ডিজাইন শেখার অন্যতম উপায় হচ্ছে অন্যের ডিজাইন পর্যবেক্ষন করা। অন্য আরেকজনের ডিজাইন যদি দেখে দেখে হুবহু তৈরি করতে পারেন তাহলে ধরে নিবেন দক্ষ ডিজাইনার হতে খুব বেশি দিন বাকি নেই। এভাবে চর্চা করতে থাকলে ডিজাইনের নতুন নতুন আইডিয়া স্বাভাবিকভাবেই পেয়ে যাবেন।

লেখক - মোঃ জাকারিয়া চৌধুরী

বিঃদ্রঃ - এই লেখাটি "মাসিক কম্পিউটার জগৎ" ম্যাগাজিনের "সেপ্টেম্বর ২০০৯" সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছে।
Aug18
আমি মূলত একজন ওয়েবসাইট প্রোগ্রামার। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ওয়েবসাইটের ডিজাইন বা টেম্পলেট, ক্লায়েন্টের কাছ থেকে পেয়ে থাকি। একটি টেম্পলেটের সাথে প্রোগ্রামিংকে যুক্ত করার জন্য প্রায় সময় ফটোশপের স্লাইসিং টুল নিয়ে ঘাটাঘাটি করতে হয়। সেই সুবাদে ফটোশপ একটু আধটু জানি। যেসব ক্লায়েন্টের কাছ থেকে টেম্পলেট পাওয়া যায় না তাদের সান্ত্বনা দেবার জন্য মাঝে মধ্যে নিজেই টেম্পলেট তৈরি করা শুরু করে দেই। এতে বেশিরভাগ সময় কাজ হয়। তবে সত্যি বলতে কি ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এর প্রতি আমার এক ধরনের ঝোঁক সবসময় রয়েছে। কাজের চাপে খুব একটা সময় দিতে পারি না, তবে সুযোগ পেলে বিভিন্ন ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এর সাইটে ঘোরাঘুরি করি।

একটা বিষয় আমি খেয়াল করে দেখলাম, আমাদের দেশে যারা ফ্রিল্যান্সিং করতে চান তাদের প্রথম ও প্রধান লক্ষ্য থাকে ডাটা এন্ট্রির মাধ্যমে বেশি মাথা অল্প খাটিয়ে কম কষ্টে আয় করা। প্রকৃতপক্ষে একটি ডাটা এন্ট্রির কাজ পাওয়া যে কতটা কঠিন তা আমার অজানা নয়। এক একটি প্রজেক্টে ১০০ জনের উপর বিড করে। তার উপরে এই ধরনের কাজ খুবই বিরক্তিকর এবং কষ্টের তুলনায় আয় অত্যন্ত কম। সর্বোপরি এধরনের কাজে সৃজনশীলতার ছিঁটেফোটাও নেই।

আমি জানি, অনেকেই বলবেন সবাইতো আর প্রোগ্রামার হতে পারবেন না। একজন দক্ষ প্রোগ্রামার হবার জন্য কম্পিউটার সায়েন্স বা এই ধরনের বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সুযোগ বা সময় অনেকেরই থাকবে না। তাহলে একজন নন-টেকনিকাল ব্যক্তি কি একজন প্রোগ্রামারের সমান বা তার চেয়ে বেশি আয় করতে পারবে না? আমি বলব, অবশ্যই পারবেন। এই বিষয়ে আমি আমার সাইটে বিভিন্ন লেখায় বিভিন্নভাবে উল্লেখ বলেছি। কিন্তু আমার মনে হয় ব্যাপারটা বেশিরভাগ নতুন ফ্রিল্যান্সাররাই খেয়াল করেন না, অথবা সেই বিষয়ে আগ্রহ পান না।

কোন সেই বিষয়? ওয়েবসাইট ডিজাইনিং। তবে শুরুতেই বলে নেই, এই পেশায় প্রথম অবস্থায় যথেষ্ঠ শ্রম দিতে হবে এবং অবশ্যই নতুন কিছু উদ্ভাবন করার ক্ষমতা থাকতে হবে। এই দুই ক্ষমতা থাকলে আমি নিঃসন্দেহে বলতে পারি ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এ আপনি ভাল করতে পারবেন। ঘরে বসে সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টাতেই ডিজাইনিং শেখা সম্ভব। Photoshop Tutorial লিখে গুগলে সার্চ দিলে হাজারটা ওয়েবসাইট পাবেন। ধৈর্য্য ধরে শিখতে পারলে কখনও কাজের অভাব হবে না।

ধরা যাক আপনি কয়েক মাস চেষ্টার ফলে একজন দক্ষ ডিজাইনার হতে পেরেছেন। এখন আপনার ডিজাইন কিনবে কে? এর উত্তর হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস সাইটগুলো। কষ্ট করে ওইসব সাইটে বিড করা শুরু করে দিন। আশা করি খুব শীঘ্রি আপনি বিড জিততে পারবেন।

আর যদি বিড করে কাজ না পেয়ে হতাশ হয়ে থাকেন, তাহলেও নিরাশ হবেন না। আজ আমি আপনাদেরকে একটি ওয়েবসাইটের সাথে পরিচয় করিয়ে দিব যেখানে কোন বিড করতে হয় না। যেখানে ক্লায়েন্টের কোন চাহিদা নেই। আপনি সম্পূর্ণ নিজের ইচ্ছে মত কাজ করে যাবেন আর অনবরত আয় হতে থাকবে। সাইটি হচ্ছে - GraphicRiver.net ।


মজার ব্যাপার হচ্ছে, এই সাইটে আপনাকে সম্পূর্ণ ওয়েবসাইটের টেম্পলেট তৈরি করতে হবে না। একটি ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য প্রয়োজনীয় গ্রাফিক্স যেমন বাটন, ব্যানার, বিভিন্ন ধরনের টেবিল, ব্যাকগ্রাউন্ড ইত্যাদি তৈরি করে জমা দিতে পারবেন। ডিজাইন জমা দেবার পর ওয়েবসাইটের কর্তৃপক্ষ যাচাই করে দেখবে আপনার ডিজাইনটি মানসম্মত অথবা অন্য কারো ডিজাইন অনুকরণ করে তৈরি করা হয়েছে কিনা। যাচাইয়ে উত্তীর্ণ হলে তারাই ডিজাইনটির একটি মূল্য নির্ধারণ করে দিবে যা ১ ডলার থেকে ১০ ডলার পর্যন্ত হতে পারে। এর মধ্যে প্রথম অবস্থায় ৪০% অর্থ ডিজাইনারকে দেয়া হবে।

মূল্য শুনে মন খারাপ করবেন না, আসল কথা এখনও বলা হয় নি। এই সাইটি একটি অনলাইন শপ বা ইকমার্স সাইটের মত। অর্থাৎ একটি ডিজাইন একের অধিক ক্লায়েন্ট কিনতে পারে। এক একটি ভাল ডিজাইন গড়ে ৫০ বার বা তার চেয়ে বিক্রি হয়। আর সময়ের সাথে বিক্রি বাড়তেই থাকে। ধরা যাক, আপনার তৈরিকৃত একটি ব্যানারের মূল্য ১ ডলার নির্ধারণ করা হল অর্থাৎ প্রতিবার বিক্রি হলে আপনি পাবেন ০.৪০ ডলার। একটি ব্যানার তৈরি করতে ১ দিনের বেশি লাগার কথা নয়। তাহলে মাসে যদি ৫০ বার ব্যানারটি বিক্রি হয় তাহলে ওই ১ দিনের কাজের জন্য আপনি মাসে আয় করছেন ২০ ডলার। এভাবে প্রতিদিন যদি অন্তত একটি ভাল ডিজাইন তৈরি করতে পারেন তাহলে বিষয়টা দাড়াচ্ছে ৩০x২০=৬০০ ডলার। আমি কি বেশি বলে ফেললাম !!!

ঠিক আছে, তাহলে আমি নিজেই তা পরীক্ষা করে দেখি। চলুন দেখা যাক আমি কিছু বিক্রি করতে পারি কি না। আজকে (১৭ আগস্ট ২০০৯ তারিখে) আমি একটি ডিজাইন "গ্রাফিক রিভার" সাইটে জমা দিয়েছি। এটি একটি মূল্য তালিকা প্রদর্শন করার টেবিল। তৈরি করতে আমার মত অদক্ষ ডিজাইনারের বিকেল থেকে রাত অবধি সময় লেগেছে। সাইটের কর্তৃপক্ষ ডিজাইনটির জন্য ১ ডলার মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে। আমার প্রথম ডিজাইনটি যে তারা গ্রহণ করেছে তাতেই আমি খুশি। নিচের লিংক থেকে আমার কাজটি দেখতে পাবেন -
http://graphicriver.net/item/web-pricing-table/54601?ref=zchowdhury

চলুন দেখা যাক, ডিজাইনটি শেষ পর্যন্ত কতবার বিক্রি হয়।

লেখক - মোঃ জাকারিয়া চৌধুরী
May12
ইন্টারনেটে ফ্রিল্যান্সারদের জন্য যে সকল মার্কেটপ্লেস রয়েছে তাদের মধ্যে সম্পূর্ণ ব্যতিক্রমী একটি সাইট হচ্ছেwww.99designs.com। এই সাইটটি শুধুমাত্র ডিজাইনারদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে। যে সকল বিষয়ের উপর এই সাইটে কাজ পাওয়া যায় তা হচ্ছে - ওয়েবসাইট ডিজাইন, লোগো ডিজাইন, বাটন ও আইকন ডিজাইন, টি-শার্ট ডিজাইন, ব্যানার ডিজাইন ইত্যাদি। অন্যান্য সাইট থেকে এই সাইটের পার্থক্য হচ্ছে এখানে প্রত্যেকটি ডিজাইন সম্পন্ন করার জন্য ক্রেতা বা ক্লায়েন্ট একটি উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। প্রতিযোগিতায় যে কেউ অংশগ্রহণ করতে পারে এবং ক্লায়েন্টের নির্দেশ অনুযায়ী ডিজাইনাররা ডিজাইন তৈরি করে। সবশেষে ক্লায়েন্ট একটি ডিজাইনকে বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করে এবং পুরষ্কার হিসেবে ডিজাইনারকে পূর্ব নির্ধারিত অর্থ প্রদান করে।

এই ওয়েবসাইটে প্রত্যেকটি কাজকে কনটেস্ট (contest) বা প্রতিযোগিতা বলা হয়। ক্লায়েন্টকে এই সাইটে কনটেস্ট হোল্ডার বা আয়োজক এবং অংশগ্রহণকারী ফ্রিল্যান্সারদেরকে ডিজাইনার হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এই সাইটে ৩০ হাজারের উপর ডিজাইনার রেজিষ্ট্রেশন করেছে এবং এই মূহুর্তে তিনশতটির উপর প্রতিযোগিতা রয়েছে যেগুলোর সর্বমোট মূল্য হচ্ছে ১ লক্ষ ডলারেরও বেশী। প্রতিযোগিতার পুরষ্কার হিসেবে প্রধানত অর্থ প্রদান করা হয়, তবে আয়োজক ইচ্ছে করলে সাথে অন্য কোন সামগ্রী দিতে পারে।

যেভাবে সাইটটি কাজ করে

১) ডিজাইনের নির্দেশনা তৈরি:
প্রথম ধাপে প্রতিযোগিতার আয়োজক তার চাহিদা অনুযায়ী ডিজাইনের একটি নির্দেশনা তৈরি করে যাকে বলা হয় ডিজাইন ব্রিফ (Design Brief)। ডিজাইনাররা এই ব্রিফের উপর ভিত্তি করে তাদের ডিজাইন তৈরি করে থাকে। প্রতিযোগিতাটির আয়োজন করার জন্য এসময় ক্লায়েন্টকে ৩৯ ডলার অর্থ সাইটকে প্রদান করতে হয়। তবে এই সাইট থেকে ফ্রিল্যান্সারদের কাছ থেকে কোন ফি নেয়া হয় না।

২) বাজেট নির্ধারণ:
দ্বিতীয় ধাপে আয়োজক পুরষ্কারের পরিমাণ নির্ধারণ করে। পুরষ্কারের মূল্য সর্বনিম্ন ১০০ ডলার থেকে শুরু করে এক থেকে দুই হাজার ডলার পর্যন্ত হতে পারে। এটি সম্পূর্ণ আয়োজকের বাজেটের উপর নির্ভর করে।

৩) প্রতিযোগিতা শুরু:
প্রত্যেকটি প্রতিযোগিতা সর্বনিম্ন ১ দিন থেকে সর্বোচ্চ ৭ দিন পর্যন্ত চলতে পারে। এই সময়ের মধ্যে ডিজাইনাররা প্রজেক্টের ব্রিফের উপর নির্ভর করে ডিজাইন তৈরি করে এবং তৈরিকৃত ডিজাইনের একটি ছবি ওয়েবসাইটে জমা করে। এই ছবিগুলো যে কেউ দেখতে পারে। এতে একজনের ডিজাইন দেখে তার থেকে ভাল আরেকটি ডিজাইন তৈরি করার মানসিকতা ডিজাইনারদের মধ্য কাজ করে। যা পরিশেষে আয়োজকের জন্য সুফল বয়ে আনে। প্রতিযোগিতা চলাকালীন সময়ে আয়োজক জমা দেয়া প্রত্যেকটি ডিজাইনকে একটি রেটিং এবং একটি মন্তব্য প্রদান করে। কোন ডিজাইন ভাল না হলে তা ঠিক করার পরামর্শও আয়োজক দিয়ে থাকে। প্রত্যেক ডিজাইনার একের অধিক ডিজাইন জমা দিতে পারে।

৪) বিজয়ী নির্ধারণ:

রেটিং এবং মন্তব্য প্রদানের মাধ্যমে আয়োজক ডিজাইনারদের সাথে যোগাযোগ করে এবং তার কাঙ্খিত ডিজাইন তৈরি করিয়ে নেয়। প্রতিযোগিতা শেষ হবার পর আয়োজক একজনকে বিজয়ী হিসেবে নির্ধারণ করে এবং তার পুরষ্কার প্রদান করে। সবশেষে ডিজাইনার তার তৈরিকৃত মূল ডিজাইনের ফাইল আয়োজককে দিয়ে দেয়।

প্রতিযোগিতার প্রকারভেদ:

99designs.com সাইটে পুরষ্কার প্রদানের বিভিন্ন পদ্ধতির উপর ভিত্তি করে নিম্নলিখিত ধরনের প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় -
১) প্রিপেইড প্রতিযোগিতা:এটি হচ্ছে সাইটটির স্ট্যান্ডার্ড একটি প্রতিযোগিতা যাতে আয়োজক পুরষ্কারের মূল্য প্রতিযোগিতা শুরুর পূর্বেই99designs.com সাইটে জমা রাখে। প্রতিযোগিতা শেষে সাইটটি বিজয়ী ডিজাইনারকে অর্থ প্রদান করে থাকে। এ ধরনের প্রতিযোগিতায় আয়োজক কোন ডিজাইন পছন্দ না হলে প্রতিযোগিতা বাতিল করে অর্থ ফেরত নিতে যেতে পারে। প্রিপেইড প্রতিযোগিতার সময় হচ্ছে ৭ দিন। প্রতিযোগিতা শেষে আরো ৭ দিনের মধ্যে আয়োজক একজন ডিজাইনারকে বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করতে পারে অথবা কোন ডিজাইন পছন্দ না হলে প্রতিযোগিতা বাতিল করতে পারে।

২) গ্যারান্টেড প্রতিযোগিতা: 
গ্যারান্টেড প্রতিযোগিতা ডিজাইনারদের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ একটি পদ্ধতি যা বেশিরভাগ ডিজাইনারকে আকৃষ্ট করে। ফলে আয়োজক সর্বোৎকৃষ্টমানের ডিজাইন পেতে পারে। পুরষ্কার প্রদানের পদ্ধতি প্রিপেইড প্রতিযোগিতার মতই, তবে এই পদ্ধতিতে প্রতিযোগিতা শেষে আয়োজক নিশ্চিতভাবে একজন ডিজাইনারকে বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করে এবং তার পুরষ্কারের মূল্য প্রদান করে। গ্যারান্টেড প্রতিযোগিতায় আয়োজক প্রতিযোগিতা বাতিল বা সাইটে জমা দেয়া অর্থ ফেরত নিতে পারে না।

৩) পে-অন-উইন প্রতিযোগিতা:
এটি সাইটের প্রথম দিককার প্রতিযোগিতার পদ্ধতি ছিল, যা এখন আর নেই। এই পদ্ধতিতে প্রতিযোগিতার আয়োজক সাইটে পুরষ্কারের অর্থ জমা না রেখে সরাসরি বিজয়ী ডিজাইনারকে প্রদান করত। অন্যদিকে বর্তমানে এই কাজটি 99designs.com সাইটটি বিভিন্ন ধরনের পেমেন্ট পদ্ধতির মাধ্যমে করে থাকে।

৪) ফাস্ট ট্র্যাক প্রতিযোগিতা:
এই ধরনের প্রতিযোগিতা একটি সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য আয়োজন করা হয়, সাধারনত ১ থেকে ৩ দিন। সাধারণত এই ধরনের প্রতিযোগিতার পুরষ্কারের মূল্য অন্যান্য ধরনের প্রতিযোগিতা থেকে বেশি হয়ে থাকে।

৫) প্রাইভেট প্রতিযোগিতা:প্রাইভেট প্রতিযোগিতাগুলো প্রিপেইড প্রতিযোগিতার মতই, তবে শুধুমাত্র ওয়েবসাইটে লগইন করার পর দেখা যায়। এই ধরনের প্রতিযোগিতাকে সাইটের সার্চে অন্তর্ভুক্ত করা হয় না এবং এগুলো সার্চ ইঞ্জিন থেকে লুকানো থাকে।

পুরষ্কারের অর্থ উত্তোলনের পদ্ধতি:

প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ী ডিজাইনার তার তৈরিকৃত ডিজাইনারের মূল ফাইল সাইটে আপলোড করে দেয়। আয়োজক কাজটি গ্রহণ করার সাথে সাথে পুরষ্কারের সম্পূর্ণ অর্থ ডিজাইনারের একাউন্টে জমা হয়ে যায়। মোট আয় ৫০ ডলারের অধিক হলেই ওয়েবসাইটটি থেকে ৪টি পদ্ধতির যে কোন একটি ব্যবহার করে অর্থ উত্তোলন করা যায়। পদ্ধতিগুলো হচ্ছে - পেপাল, অল্টারপে, মানিবুকারস এবং ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন। বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সারা শেষের দুটি পদ্ধতির মাধ্যমে সহজেই অর্থ উত্তোলন করতে পারবে।


সৃজনশীল এবং দক্ষ ডিজাইনারদের জন্য 99designs.com সাইটটি ইন্টারনেট থেকে আয় করার একটি চমৎকার মার্কেটপ্লেস। এই সাইটে যেহেতু একজনের ডিজাইন অন্য আরেকজন দেখতে পারে ফলে নতুন ডিজাইনারা এই পদ্ধতিতে ডিজাইনের নতুন নতুন আইডিয়া শিখতে পারবে। একটি ডিজাইন জমা দেয়ার সাথে সাথেই যেহেতু ক্লায়েন্টের মতামত ও রেটিং পাওয়া যায়, তাতে ডিজাইনার জানতে পারে তার ডিজাইন কতটকু গ্রহণযোগ্য এবং সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে পারে। এই সাইটের অন্য আরেকটি ভাল দিক হচ্ছে এখানে অন্যান্য সাইট থেকে তুলনামূলকভাবে বেশি মূল্যের কাজ পাওয়া যায়। উদাহরণসরূপ এই সাইটে একটি ছোট্ট লোগো ডিজাইন করার জন্য প্রায়ই ৫০০ ডলারের গ্যারান্টেড পুরষ্কার প্রদান করা হয়, যা সত্যি অভাবনীয়।

No comments:

Post a Comment