Thursday, April 12, 2012

Outsourcing: Outsourcing In English

Outsourcing: Outsourcing In English: Top 15 Most Popular SEO Websites: SEOBook.Com SEOMoz.Org Searchengineland.Com SearchEngineWatch.Com SearchEngineJournal.Com SEOC...

Saturday, March 31, 2012

Small microworker job


ডাটা এন্ট্রির কাজ কোথায় পাওয়া যায় তা জানতে অনেকেই আমাকে ইমেইল করেন। আমি ডাটা এন্ট্রি কাজ করতে কাউকে উৎসাহ দেই না। কারণ এই কাজগুলো পাওয়া খুব কঠিন হয়ে থাকে। তাছাড়া কাজগুলো একঘেয়ে হয় এবং এর মাধ্যমে খুব বেশি আয় করা যায় না। আমি তাই সবাইকে গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার পরামর্শ দেই। তবে এটা সত্য যে গ্রাফিক্সের কাজগুলো সহজ নয়। এর জন্য অনেক দক্ষতা এবং চর্চার প্রয়োজন রয়েছে, যা সবার পক্ষে সম্ভব নয়। ফলে আমাদের দেশে ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে ডাটা এন্ট্রির কাজগুলো করার প্রবণতা থেকেই যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে আমি সবাইকে গেট-এ-ফ্রিল্যান্সার থেকে কাজ করার পরামর্শ দেই। কিন্তু এখানেও মূল সেই সমস্যাটি থেকেই যাচ্ছে, কাজ পাওয়া খুব কঠিন। প্রথম কাজ পেতে আপনাকে কয়েক সপ্তাহ, এমনকি এক মাসও অপেক্ষা করতে হতে পারে।

আজকে আপনাদেরকে যে সাইটের সাথে পরিচয় করিয়ে দিব তা থেকে কাজ পেতে কোন অপেক্ষা করতে হবে না। এই মূহুর্ত থেকেই কাজে লেগে যেতে পারবেন। সাইটটি হচ্ছে -www.microworkers.com। প্রথম দর্শনে সাইটটিকে আমার খুবই চমৎকার এবং সহজ মনে হয়েছে। মনে হচ্ছে ডাটা এন্ট্রি ফ্রিল্যান্সাররা এই সাইটকে স্বাদরে গ্রহণ করবে।


মূল বেশিষ্ট্যগুলো হচ্ছে -
  • এখানে কাজ করার জন্য কোন বিড করতে হয় না।
  • কাজগুলো খুবই ছোট হয়ে থাকে, প্রতিটি কাজ সম্পন্ন করতে সাধারণত ৫ মিনিট থেকে সর্বোচ্চ ৩০ মিনিট সময় লাগবে।
  • কাজটি আপনি সত্যি সম্পন্ন করেছেন কিনা তার একটি প্রমাণ দিতে হয়। এজন্য কাজের বর্ণনার নিচে "I accept this job" লিংকে ক্লিক করলে একটি টেক্সটবক্স দেখাবে। কিভাবে প্রমাণ দিবেন তার বর্ণনা কাজের বর্ণনার সাথেই পাবেন।
  • কাজগুলো যেহেতু ছোট তাই অর্থের পরিমাণও সামান্য, প্রতিটি কাজ ০.১০ ডলার থেকে শুরু করে ১.৫০ ডলার পর্যন্ত হয়ে থাকে।
  • প্রায় প্রতি ঘন্টায় নতুন নতুন কাজ আসে।
  • একটি কাজ একবারই করতে পারবেন।
  • মোট আয় ৯ ডলার হলে অর্থ উত্তোলন করতে পারবেন।
  • চারটি পদ্ধতিতে অর্থ উত্তোলন করা যায় - চেক, মানিবুকারস, পেপাল এবং অল্টারপে।
  • প্রথমবার অর্থ উত্তোলন করতে গেলে আপনার ঠিকানায় একটি চিঠি পাঠানো হবে, যাতে একটি Pin নাম্বার দেয়া থাকবে। এই পদ্ধতিতে আপনার ঠিকানা যাচাই এবং একজন ব্যবহারকারী যাতে দুটি একাউন্ট করতে না পারে তা নিশ্চিত করা হয়।

কাজের প্রকারভেদ:

সাইটে যে ধরনের কাজ পাওয়া যায় এবং সেগুলোর সর্বনিম্ন মূল্য নিচে দেয়া হল -
  • Visit my site + Comment $0.10: কাজের বর্ণনায় উল্লেখিত ওয়েবসাইটে গিয়ে একটি নির্দিষ্ট শব্দের মন্তব্য দিতে হবে।
  • Follow my Twitter $0.10: বর্ণনায় উল্লেখিত একটি Twitter একাউন্ট কে Follow করা, এজন্য twitter.com এ আপনার একটি একাউন্ট থাকতে হবে।
  • Simple sign up (2 fields) $0.10: বর্ণনায় উল্লেখিত সাইটে রেজিষ্ট্রেশন করা, যাতে মাত্র দুটি তথ্য দিতে হবে। রেজিষ্ট্রেশন করার সময় একটি ইমেইল ঠিকানা দিতে হয়। আমার পরামর্শ হল এই ধরনের কাজের জন্য ভিন্ন একটি একাউন্ট তৈরি করে সেটি দেয়ে রেজিষ্ট্রেশন করুন। অন্যথায় স্পাম ইমেইলের কারণে আপনার দরকারী ইমেইল খোঁজে পাবেন না।
  • Complex Sign up $0.15: উল্লেখিত সাইটে রেজিষ্ট্রেশন করা, যাতে বেশি তথ্য দিতে হবে।
  • Digg my page $0.10: কোন একটি সাইটের পৃষ্ঠার জন্য Digg করা। এজন্য আপনার Digg.com এ একাউন্ট থাকতে হবে।
  • Text link to a website $0.20: ক্লায়েন্টের সাইটের URL আপনার কোন সাইট বা ব্লগের সাথে লিংক দেয়া, অথবা ক্লায়েন্টের চাহিদা অনুযায়ী অন্য কোন ফোরামে পোস্ট করা।
  • Review of my site + Link $0.30: ক্লায়েন্টে সাইট নিয়ে আপনার ব্লগে ইংরেজিতে একটি পোস্ট এবং তার লিংক দেয়া।
  • Download and Install $0.50 : কোন সফটওয়্যার ডাউনলোড এবং ইন্সটল করা।

সাইটটি সম্পর্কে ইন্টারনেটে সার্চ করে দেখেছি। বেশিরভাগই এটিকে ভাল বলেছে। বিভিন্ন ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসে দেখলাম এই সাইটের ক্লোন করে আরো সাইট তৈরি হচ্ছে। ফলে আমার বিশ্বাস এই সাইট থেকে সত্যি সত্যি টাকা উপার্জন করা সম্ভব। সাইটটি পরীক্ষা করতে গিয়ে আমি দুটি কাজ করেছি। আমার ইচ্ছে আছে অন্তত ৯ ডলার আয় করে দেখা আসলেই তারা টাকা দেয় কিনা। যদিও এটি করতে গিয়ে আমার যথেষ্ঠ সময় কিছুটা ব্যয় হবে, যেখানে আমি প্রোগ্রামিং করে এর চেয়ে অনেক অনেক বেশি আয় করি। তারপরও এই সাইট থেকে টাকা পেলে যারা ডাটা এন্ট্রি কাজ করতে চান তাদেরকে একটা সহজ রাস্তা বলে দিতে পারব।

আপনারা সাইটটি চেষ্টা করে দেখতে পারেন। কাজ করতে গিয়ে সমস্যা হলে এই লেখায় মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে জানাবেন, আমি চেষ্টা করব উত্তর দিতে। আর কেউ টাকা উত্তোলন করতে পারলে অবশ্যই জানাবেন।

সাইটটি কিভাবে কাজ করে তা নিচের কার্টুনের মাধ্যমে বর্ণনা করা হয়েছে -
Dec14
তথ্য প্রযুক্তির বিকাশের সাথে সাথে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ডাটা এবং তথ্য ব্যবস্থাপনা ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে। ডাটা  এন্ট্রি (Data Entry) হচ্ছে কম্পিউটারের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট ধরনের ডাটা একটি স্থান/প্রোগ্রাম থেকে অন্য আরকটি স্থানে/প্রোগ্রামে প্রতিলিপি তৈরি করা। ডাটাগুলো হতে পারে হাতে লেখা কোন তথ্যকে কম্পিউটারে টাইপ করা অথবা কম্পিউটারের কোন একটি প্রোগ্রামের ডাটা একটি স্প্রেডশীট ফাইলে সংরক্ষণ করা। কম্পিউটার ব্যবহারের শুরু থেকেই ডাটা এন্ট্রির ধারনা চলে এসেছে। বর্তমানে ইন্টারনেটের কল্যাণে তথ্যের আদান প্রদান বিস্তৃত হয়েছে, সেই সাথে বেড়েছে বিভিন্ন ধরনের ডাটাকে সুবিসন্নস্ত করে এর বহুবিধ ব্যবহার। তাই দক্ষ ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। এধরনের কাজগুলো একা বা দলগতভাবে সম্পন্ন করা যায় এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কম্পিউটার এবং ইন্টারনেটের সাধারণ ব্যবহারের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। ফলে যে কেউ এই ধরনের কাজ করে ঘরে বসেই বৈদিশিক মুদ্রা আয় করতে পারে।

কোথায় পাওয়া যাবে:
ডাটা এন্ট্রি এর কাজগুলো সাধারণ ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং মার্কেটপ্লেস সাইটেই পাওয়া যায়। অনেক ধরনের ওয়েবসাইট রয়েছে যাতে বলা হয় বিপুল পরিমাণে ডাটা এন্ট্রি এর কাজ পাওয়া যাবে। কিন্তু ওই সাইটে রেজিষ্ট্রশন করার জন্য একটি নির্দিষ্ট ফি দিতে হয়। যেহেতু রেজিষ্ট্রেশন করার পূর্বে আপনি জানতে পারছেন না সত্যিই ওই সাইটে কাজ পাওয়া যায় কি না, তাই এই ধরনের সাইটে রেজিষ্ট্রেশন করা থেকে বিরত থাকাই ভাল। বিনামূল্যে রেজিষ্ট্রেশন করে ডাটা এন্ট্রি কাজ পাওয়া যায় এরকম সাইট হচ্ছে -www.GetAFreelancer.comwww.oDesk.comwww.GetACoder.com,www.ScriptLance.com ইত্যাদি। এই সাইগুলোতে ডাটা এন্ট্রি কাজের আলাদা বিভাগ রয়েছে। সাইটগুলোতে কয়েকশত ডলার থেকে কয়েক হাজার ডলারের প্রজেক্ট রয়েছে। সাধারণত 'প্রতি একহাজার ডাটা এন্ট্রির জন্য একটি নির্দিষ্ট ডলার' এই ভিত্তিতে কাজ পাওয়া যায়। অনেকক্ষেত্রে সম্পূর্ণ কাজের জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দেয়া হয়।

প্রয়োজনীয় দক্ষতা:
ডাটা এন্ট্রি প্রজেক্টে বিভিন্ন ধরনের দক্ষতার প্রয়োজন হয় যা একটি প্রজেক্টের উপর নির্ভর করে। অনেক ধরনের প্রজেক্ট পাওয়া যায় যাতে শুধুমাত্র কপি-পেস্ট ছাড়া আর কোন দক্ষতার প্রয়োজন হয় না। তবে সাধারণভাবে যে দক্ষতাগুলো সবসময় প্রয়োজন পড়বে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে - দ্রুত টাইপিং করার ক্ষমতা, মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ও বিশেষ করে মাইক্রোসফট এক্সেলে পরিপূর্ণ দখল এবং সর্বোপরি ইংরেজিতে ভাল জ্ঞান। তার সাথে রয়েছে ইন্টারনেটে সার্চ করে কোন একটি তথ্য খোঁজে পাবার দক্ষতা এবং বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট, ফোরাম, ওয়েব ডাইরেক্টরী সম্পর্কে ভাল ধারণা।


ডাটা এন্ট্রি কাজের প্রকারভেদ:
ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোতে যেসকল ডাটা এন্ট্রি কাজ পাওয়া যায় তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে - বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ফাইল, ছবি ইত্যাদি আপলোড করা, বিভিন্ন সাইট থেকে নির্দিষ্ট কিছু তথ্য এক্সেলের একটি ফাইলে সংরক্ষণ করা, ওয়েবসাইটের জন্য একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর আর্টিকেল লেখা, একটি ওয়েবসাইটকে বিভিন্ন ওয়েবসাইট, ফোরাম, গ্রুপে গিয়ে পরিচয় (Promote) করিয়ে দেয়া, দুটি ওয়েবসাইটের মধ্যে লিংক আদান প্রদান করা (Link Exchange), অনলাইনে বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করতে সাহায্য করা, OCR (অপটিক্যাল কারেক্টার রিকগনিশন) থেকে প্রাপ্ত লেখার ভুল সংশোধন করা ইত্যাদি।

নিচে ওডেস্ক এবং গেট-এ-ফ্রিল্যান্সার সাইটে গত নভেম্বর মাসে প্রাপ্ত কয়েকটি প্রজেক্ট সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হল:

১) লোকাল বিজনেসের তথ্য প্রদান: এই প্রজেক্টে বায়ারের (Buyer) রিকোয়ারমেন্ট হচ্ছে ইন্টারনেটে সার্চ করে যুক্তরাজ্যের একটি নির্দিষ্ট শহরের বিভিন্ন ধরনের ব্যবসার প্রতিষ্ঠানের নাম, ঠিকানা, ফোন নাম্বার ইত্যাদি তথ্য প্রদান করা। বায়ার এই তথ্যগুলো পরবর্তীতে বিভিন্ন ধরনের মার্কেটিং কাজে ব্যবহার করবে। এই প্রজেক্টটি সম্পন্ন করতে প্রকৃতপক্ষে ইন্টারনেটে ওই শহরের নাম দিয়ে সার্চ করতে হবে এবং প্রাপ্ত তথ্য একটি এক্সেল ফাইলে সেইভ করে বায়ারকে প্রদান করতে হবে। প্রজেক্টে বায়ারের বাজেট হচ্ছে ৫০ ডলার। তবে ঠিক কতটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের তথ্য প্রদান করতে হবে এবং কতদিনের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে সে বিষয়ে কোন ব্যাখ্যা দেয়া নেই।

২) ওয়েবসাইট থেকে ডাটা সংগ্রহ করা: এই প্রজেক্টে বায়ার কয়েকটি ওয়েবসাইটের তথ্য দিয়ে দিবে। প্রোভাইডার হিসেবে আপনার কাজ হবে ওই সাইটগুলো থেকে নির্দিষ্ট কিছু ডাটা আরেকটি ওয়েবসাইটের ফরমের মধ্য সেইভ করা। প্রতি ঘন্টায় এরকম ২০০ টি ডাটা এন্ট্রি করতে হবে, অর্থাৎ প্রতি ১৮ সেকেন্ডে একটি ডাটা এন্ট্রি করতে হবে। এই কাজটি করার জন্য কোন বিশেষ অভিজ্ঞতার প্রয়োজন নেই, শুধু মাত্র কপি এবং পেস্ট করা জানলেই হবে। সম্পূর্ণ কাজের জন্য বায়ারের বাজেট হচ্ছে ১২০ ডলার।

৩) অডিও ট্রান্সক্রিপশন: এই প্রজেক্টে বায়ার পূর্বে রেকর্ডকৃত কয়েকটি অডিও (Audio) ফাইল দিবে। আপনার কাজ হবে অডিও শুনে ইংরেজিতে একটি ফাইলে লেখা বা প্রতিলিপি তৈরি করা। প্রতি ঘন্টার অডিও ফাইল প্রতিলিপির জন্য ২০ ডলার দেয়া হবে। এই কাজের জন্য ইংরেজিতে অবশ্যই পারদর্শী হতে হবে।

৪) ডকুমেন্ট কনভার্শন: এই প্রজেক্টে আপনাকে PDF ফরমেটের একটি ডকুমেন্ট ফাইল দেয়া হবে। আপনার কাজ হবে মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে ওই লেখাগুলো হুবহু প্রতিলিপি করা। অর্থাৎ পিডিএফ এর লেখাটির ফরমেট, ছবি, ফুটনোট ইত্যাদি অপরিবর্তিতভাবে ওয়ার্ড ফাইলে প্রতিস্থাপন করা। এই কাজের জন্য গেট-এ-ফ্রিল্যান্সারে ২৭ টি বিড পড়েছে এবং গড় মূল্য হচ্ছে ৬৫ ডলার।

৫) ক্লাসিফাইড এড লিস্টিং: এই প্রজেক্টটি হচ্ছে একটি ক্লাসিফাইড বা শ্রেণীবদ্ধ বিজ্ঞাপনের ওয়েবসাইটে নতুন নতুন বিজ্ঞাপন যোগ করা। এজন্য Craigslist, Amazon, Ebay ইত্যাদি সাইট থেকে বিভিন্ন ধরনের পণ্যের তথ্য ওই ওয়েবসাইটটিতে যোগ করতে হবে এবং একটি এক্সেল স্প্রেডশীট ফাইলে এই তথ্যগুলো সংরক্ষণ করতে হবে। তারপর পণ্যটির বিক্রেতার কাছে ইমেলই করে তাকে ওয়েবসাইটি সম্পর্কে জানাতে হবে। এরকম ৫০০ টি পণ্যের ডাটা এন্ট্রি করতে হবে। এই কাজের জন্য বায়ারের সর্বোচ্চ বাজেট হচ্ছে ২৫০ ডলার।

৬) ক্যাপচা (Captcha) এন্ট্রি: ক্যাপচা হচ্ছে কয়েকটি অক্ষর ও সংখ্যার সমন্নয়ে একধরনের সিকিউরিটি কোড বা ছবি যা বিভিন্ন সাইটে রেজিষ্ট্রেশন করার সময় প্রদান করতে হয়। কোন প্রোগ্রাম এর মাধ্যমে কেউ যাতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে একটি সাইটে রেজিষ্ট্রেশন বা ফরম পূরণ করতে না পারে এজন্য এটি ব্যবহার করা হয়। গেট-এ-ফ্রিল্যান্সারে প্রাপ্ত এই কাজে দুইদিনের মধ্যে 36K বা ৩৬,০০০ হাজার ক্যাপচা এন্ট্রি করতে হবে। প্রতি 1K বা এক হাজারটি এন্ট্রি করার জন্য ১ ডলার দেয়া হবে অর্থাৎ মোট প্রজেক্টের মূল্য হচ্ছে ৩৬ ডলার। যেহেতু একার পক্ষে কম সময়ে এত ডাটা এন্ট্রি করা সম্ভব নয় তাই সম্পূর্ণ কাজটি করার জন্য ৫ থেকে ১০ জনের একটি টিম থাকতে হবে। দুই দিনের মধ্যে সফলভাবে কাজটি করতে পারলে বায়ার পরবর্তীতে 1200K অর্থাৎ ১২,০০,০০০ ক্যাপচা এন্ট্রি করার কাজ দিবে যা দুই সপ্তাহের মধ্যে করতে হবে।

অসুবিধাসমূহ:
যদিও ডাটা এন্ট্রি এর কাজ তুলনামূলকভাবে সহজ কিন্তু এই ধরনের কাজে অনেক ধরনের অসুবিধা রয়েছে, যা পূর্বে বিবেচনা করেই কাজে নামা উচিত:

  • প্রথমত এই ধরনের কাজে অনেক বেশি বিড পড়ে, তাই প্রথম অবস্থায় কাজ পাওয়া খুব কঠিন। এই ধরনের কাজে আপনার মেধা বা দক্ষতা প্রমাণের প্রাথমিকভাবে কোন সুযোগ নেই। তবে ছোটখাট কয়েকটা কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করে ফেলতে পারলে একই বায়ারের কাছ থেকে আরো অনেক কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
  • ডাটা এন্ট্রি কাজগুলো সময়সাপেক্ষ, একঘেয়ে এবং প্রায় ক্ষেত্রে বিরক্তিকর।
  • অনেক কাজের ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের স্পীড খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে যেসব কাজে ফাইল আপলোড করতে হয় অথবা যে কাজগুলো খুব অল্প সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে, সেক্ষেত্রে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগের প্রয়োজন রয়েছে।
  • অনেক ডাটা এন্ট্রির কাজ রয়েছে যা একার পক্ষে একটি নির্দিষ্ট সময়ে শেষ করা সম্ভব নয়। এজন্য ৫ থেকে ১০ জনের একটা টিম গঠন করার প্রয়োজন পড়তে পারে।
  • ডাটা এন্ট্রির কাজগুলো খুবই সতর্কতার সাথে এবং নির্ভুলভাবে করতে হয়। তাই শতভাগ নির্ভুল টাইপিং এবং কাজের সময় পূর্ণ মনযোগ রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

প্রোগ্রামিং করে ডাটা এন্ট্রি: 
অনেক ডাটা এন্ট্রি কাজ রয়েছে যা প্রোগ্রামিং করে করা সম্ভব। প্রোগ্রামিং এ যারা দক্ষ তারাও ইচ্ছে করলে ডাটা এন্ট্রের কাজগুলো সহজেই করতে পারবে। এক্ষেত্রে আমার একটি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা বলতে পারি। ক্লায়েন্টের রিকোয়ারমেন্ট ছিল যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের ২,৫০০ টি ই-কমার্স ওয়েবসাইটের লিংক এনে দেয়া যাদের ওয়েবসাইটে কোন সিকিউরিটি সিল (এক ধরনের ছবি) নেই। ক্লায়েন্টের উদ্দেশ্য ছিল তাদের কাছে তার নিজের কোম্পানির সিকিউরিটি সিল বিক্রির জন্য ইমেইল দেয়া। প্রজেক্টের মোট মূল্য ছিল ৩০০ ডলার এবং ডেডলাইন ছিল মাত্র ৭ দিন। এই প্রজেক্টটি খুবই সময় সাপেক্ষ ছিল। কারণ সার্চ করে ৫,০০০ থেকে ৮,০০০ সাইটে যেতে হবে এবং সেই সাইটগুলোতে গিয়ে দেখতে হবে তাদের সাইটে কোন সিকিউরিটি সিল আছে কিনা। ধরা যাক সমস্ত কাজ করতে প্রতি সাইটের পেছনে যদি ১ মিনিট করে সময় ব্যয় হয়, তাহলে ৫,০০০ সাইটের ক্ষেত্রে প্রতিদিন ৮ ঘন্টা কাজ করে একজন অপারেটেরর মোট সময় লাগবে ১০ দিন। কাজটি আমি ম্যানুয়ালি না করে প্রোগ্রামিং করে সম্পন্ন করার স্বীদ্ধান্ত নিলাম এবং PHP দিয়ে দুটি প্রোগ্রাম তৈরি করলাম - একটি প্রোগ্রাম গুগল এবং ইয়াহু ডাইরেক্টরি থেকে সার্চ করে ওই দুই দেশের ই-কমার্সের সাইটের তথ্য একটি ডাটাবেইজে সংরক্ষণ করবে। আরেকটি প্রোগ্রাম ডাটাবেইজ থেকে তথ্যগুলো নিয়ে একটি একটি করে সাইটে স্বয়ংক্রিয়ভাবে যাবে এবং ওই সাইটে কোন সিকিউরিটি সিল আছে কিনা যাচাই করে দেখবে। প্রোগ্রামটি তৈরি করার পর আমি আমার সার্ভারে Cron Job এর মাধ্যমে দুটি প্রোগ্রামকে চালাই। এই পদ্ধতিতে প্রোগ্রামিং করা থেকে সার্চ করা পর্যন্ত মোট সময় লেগেছিল মাত্র দুই দিন এবং প্রোগ্রামটির মাধ্যমে এই সময়ের মধ্যে ৮,০০০ সাইটে সার্চ করে ৪,০০০ টি সিলবিহীন সাইট পেয়েছিলাম।


বাস্তবিক পক্ষে ডাটা এন্ট্রি কাজের রয়েছে বিশাল চাহিদা এবং কাজের পরিধিটাও অনেক বিস্তৃত। প্রথমদিকে একটু ধৈর্য্য সহকারে বিড করা এবং কাজ বাছাই করার ক্ষেত্রে একটু বুদ্ধিমত্ত্বার পরিচয় দেয়া প্রয়োজন। বিশেষ করে যেসব ক্লায়েন্টের কাছ থেকে ভবিষ্যতে আরও বড় প্রজেক্ট পাবার সম্ভাবনা রয়েছে সেই প্রজেক্ট পাবার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। শুরুতে একাই কাজ করুন। ভবিষ্যতে বড় কাজ পেলে কয়েকজন কম্পিউটার অপারেটরকে নিয়ে একটি টিম গঠন করাতে পারেন। তখন ডাটা এন্ট্রির কাজগুলোর মাধ্যমে বেকার জনগণকে জনশক্তিতে পরিণত করতে আপনিও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবেন।

For All microworker


ডাটা এন্ট্রি কাজ যারা করেন তারা ভালভাবেই জানেন যে একটি ডাটা এন্ট্রি কাজ পাওয়া কতটা কঠিন। কম্পিউটারের সাধারণ ব্যবহার জানলেই এ ধরনের কাজ করা যায়। এজন্য প্রায় প্রতিটি মার্কেটপ্লেসে এক একটি ডাটা এন্ট্রি প্রজেক্ট করতে শত শত আবেদন পড়ে। এদের মধ্য থেকে সুনির্দিষ্ট একজনকে বেছে নিতে ক্লায়েন্টদেরকে স্বীদ্ধান্তহীনতায় ভুগতে হয়। প্রথম কাজ পেতে কয়েক সপ্তাহ থেকে শুরু করে কয়েক মাসও লেগে যেতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় নতুন ফ্রিল্যান্সাররা কিছুদিন বিড করার পর কাজ না পেয়ে শেষে ফ্রিল্যান্সিং করার আগ্রহই হারিয়ে ফেলেন। আজকে যে ওয়েবসাইটের সাথে পরিচয় করিয়ে দিব তাতে কাজ করার জন্য কোন বিড বা আবেদন করতে হয় না। অর্থাৎ ইচ্ছে করলে এই মূহুর্ত থেকে কাজ শুরু করে দেয়া যায়। আর কাজগুলোও অত্যন্ত সহজ। সাইটটি হচ্ছে মাইক্রোওয়ার্কারস (www.microworkers.com)।

প্রথম দর্শনেই সাইটটিকে সহজবোধ্য মনে হবে। মাইক্রোওয়ার্কারস সাইটের প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এই সাইটের কাজগুলো অত্যন্ত ছোট ছোট। এক একটি কাজ করতে ৫ থেকে ৩০ মিনিট সময় লাগে। প্রতিটি কাজের মূল্য ০.১০ ডলার থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১.৭৫ ডলার পর্যন্ত হয়ে থাকে। সাইটে প্রতিদিনই নতুন নতুন কাজ আসে। এখানে একটি কাজ কেবলমাত্র একবারই করা যায়। মোট আয় ৯ ডলার হলেই চেক, মানিবুকার্স, পেপাল এবং এলার্টপে সার্ভিসের মাধ্যমে উত্তোলন যায়।

মাইক্রোওয়ার্কারস সাইটে একজন ফ্রিল্যান্সারকে Worker এবং এবং একজন ক্লায়েন্টকে Employer হিসেবে উল্লেখ করা হয়। সাইটে এই দুই ধরনের ব্যবহারকারী কিভাবে কাজ করে তা নিচের কার্টুনের মাধ্যমে বর্ণনা করা হয়েছে-

Worker হিসেবে কাজ শুরু করার পূর্বে প্রথমে সাইটে একটি একাউন্ট তৈরি করে নিতে হবে। এরপর মেনু থেকে Available Jobs লিংকে ক্লিক করে সকল কাজগুলো দেখা যাবে। প্রতিটি কাজের শিরোনামের সাথে কয়েকটি তথ্য পাওয়া যায় - কাজের মূল্য (Payment), শতকরা কতজনের কাজ ক্লায়েন্ট গ্রহণ করেছে (Success Rate), কাজটি করতে আনুমানিক কত মিনিট লাগতে পারে (Time), কতজন এ পর্যন্ত কাজটি করছে (Done) ইত্যাদি। কোন একটি কাজের শিরোনামের উপর ক্লিক করে সেই কাজের বিস্তারিত আরো তথ্য জানা যাবে। এর মধ্যে "What is expected from workers?" অংশ থেকে কাজের বিস্তারিত বর্ণনা পাওয়া যাবে। কাজটি যে আপনি যথাযথভাবে শেষ করেছেন তা প্রমাণ দিতে কি কি তথ্য প্রদান করতে হবে তা "Required proof that task was finished?" অংশের মাধ্যমে জানা যাবে। সবশেষে "I accept this job " লিংকে ক্লিক করে একটি টেক্সটবক্সে আপনার কাজের প্রমাণগুলো দিতে হবে। কোন কাজ করতে না পারলে "Not interested in this job" লিংকে ক্লিক করে বের হয়ে যাওয়াই ভাল, সেক্ষেত্রে এই কাজটি আপনার "Available Jobs" পাতায় আর কখনও দেখাবে না।

কাজের প্রকারভেদ:

এবার দেখা যাক সাইটে কি কি ধরনের কাজ পাওয়া যায় এবং সেগুলোর মূল্য সাধারণত কত হয় -
  • Click and Search ($0.10 - $0.15): এ ক্ষেত্রে ক্লায়েন্ট একটি সাইটের লিংক দিবে, যাতে ভিজিট করে নির্দিষ্ট কিছু শব্দ দিয়ে সার্চ করতে হবে। সব শেষে ক্লায়েন্টের বর্ণনা অনুযায়ী এক বা একাধিক বিজ্ঞাপনে ক্লিক করতে হবে।
  • Bookmark a page ($0.10 - $0.20): ক্লায়েন্টের কোন একটি সাইটকে অন্য একটি সাইটে বুকমার্ক করতে হবে। এ ধরনের বুকমার্ক সাইটের মধ্যে রয়েছে digg.com, delicious.com বা mixx.com, যা ক্লায়েন্ট কাজের বিবরণীতে উল্লেখ করে দিবে। বুকমার্ক করার পূর্বে ওই সাইটে আপনার একটি একাউন্ট থাকতে হবে।
  • Signup ($0.10 - $0.20): এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোন সাইটে রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে। রেজিষ্ট্রেশন করার সময় আপনার ইমেইল ঠিকানা দিতে হবে। এ ধরনের কাজ করার জন্য নিজের ব্যক্তিগত ইমেইল ঠিকানা দেয়া ঠিক হবে না। এজন্য পৃথক একটি ইমেইল একাউন্ট খুলে সেটি দিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করা উচিৎ। অন্যথায় স্পাম ইমেইলের কারণে আপনার দরকারী ইমেইল খোঁজে পাবেন না।
  • Comment on other blog ($0.10 - $0.15): এই কাজে ক্লায়েন্টের ওয়েবসাইটে গিয়ে এক বা একাধিক মন্তব্য দিতে হবে। মন্তব্যগুলো সাধারণত দুই-এক লাইনের হবে এবং ওই ওযেবসাইটের বিষয়বস্তুর সাথে স্বামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে।
  • Forums ($0.10 - $0.15): এ ধরনের কাজের জন্য কোন একটি ফোরামে রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে এবং Signature হিসেবে ক্লায়েন্টের কোন ওয়েবসাইটের লিংক দিতে হবে। এরপর ওই ফোরামের এক বা একাধিক পাতায় স্বামঞ্জস্যপূর্ণ মন্তব্য পোস্ট করতে হবে।
  • Facebook ($0.15 - $0.20): এ ধরনের কাজের মধ্যে রয়েছে ক্লায়েন্টকে ফেসবুকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করা বা ক্লায়েন্টের Fan হওয়া অথবা কোন নির্দিষ্ট বিষয়ে আপনার Wall এ পোস্ট করা।
  • Twitter ($0.15 - $0.20): এক্ষেত্রে twitter.com এ একটি একাউন্ট থাকতে হবে এবং ক্লায়েন্টের একাউন্টকে Follow করতে হবে অথবা নিদিষ্ট কোন বিষয়ে পোস্ট করতে হবে।
  • Write an article ($0.50 - $1.75): মাইক্রোওয়ার্কারসে প্রাপ্ত কাজগুলোর মধ্যে এই ধরনের কাজ অর্থাৎ কোন বিষয়ে ইংরেজীতে আর্টিকেল লিখে সবচেয়ে বেশি আয় করা যায়। লেখাগুলো ৫০ শব্দ থেকে শুরু করে ৫০০ শব্দের মধ্যে হয়ে থাকে। এ ধরনের কাজে এক দিকে যেমন ভাষাগত জ্ঞান বৃদ্ধি পায় তেমনি নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জানা যায়। তবে যাদের ইংরেজীতে লেখায় দক্ষতা আছে তারাই কেবল এ ধরনের কাজ করতে পারে। লেখায় তথ্য সংযোগের জন্য ইন্টারনেটে সার্চ দিয়ে অন্যান্য ওয়েবসাইটের সহায়তা নেয়া যাবে, তবে আপনার লেখাটা অবশ্যই মৌলিক হতে হবে। লেখা মৌলিক হল কিনা তা www.copyscape.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে যাচাই করা যাবে।
  • Blog/Website Owners ($0.25 - $0.80): অনেক সময় শুধু লিখলেই হবে না, লেখাটা আপনার জনপ্রিয় কোন ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে। এজন্য এধরনের কাজের নামের সাথে PR2+ PR3+, PR4+ ইত্যাদি লেখা দেখতে পাবেন। PR শব্দের মানে হচ্ছে Page Rank, আর PR2+ শব্দের মানে হচ্ছে যেসকল ওয়েবসাইটের পেইজ রেংক ২ বা তার অধিক। এটি গুগলের একটি মানদন্ড যা কোন ওয়েবসাইট কতটুকু জনপ্রিয় তা নির্ধারণ করতে ব্যবহার করা হয়। একটি ওয়েবসাইটের পেইজ রেংক কত তা www.prchecker.info ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জানা যায়। এ ধরনের কাজ শুরু করার পূর্বে www.blogger.com ওয়েবসাইটে গিয়ে বিনামূল্যে আপনার নিজের একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে নিতে পারেন। প্রথম অবস্থায় স্বাভাবিকভাবেই পেইজ রেংক শুণ্য থাকবে। কিন্তু আপনি যদি নিয়মিতভাবে ওয়েবসাইটটিতে বিভিন্ন বিষয়ে ইংরেজিতে আর্টিকেল লিখেন তাহলে কয়েক মাস পর পেইজ রেংক বাড়তে থাকবে। লেখার পাশাপাশি ভাল রেংকের কয়েকটি ওয়েবসাইটের সাথে লিংক বিনিময় করতে পারলে পেইজ রেংক আরো তাড়াতাড়ি বাড়তে থাকবে।
  • Download and/or Install ($0.25 - 0.35): এই কাজে কোন সফটওয়্যার শুধুমাত্র ডাউনলোড এবং কোন কোন সময় ইন্সটলও করতে হয়।
  • Post an Ad on Craigslist ($0.25 - $0.75): www.craigslist.org হচ্ছে শ্রেণীবদ্ধ বিজ্ঞাপনের একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় ওয়েবসাইট। এই ধরনের কাজের ক্ষেত্রে ক্লায়েন্টের প্রদত্ত কোন পণ্যের বিজ্ঞাপণ craigslist.org সাইটে প্রকাশ করতে হয়। এজন্য পূর্বেই সাইটটিতে একটি একাউন্ট তৈরি করে নিতে হবে।

কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:

এই সাইটে কাজ করার সময় কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখলে ঝামেলাপূর্ণভাবে কাজ করতে পারবেন -
  • কোন অবস্থাতেই একাধিক একাউন্ট তৈরি করার উচিৎ নয়। একজন ব্যবহারকারী একাধিক একাউন্ট তৈরি করলে তার সবগুলো একাউন্ট বন্ধ করে দেয়া হয়।
  • একটি নির্দিষ্ট কাজ একবারের বেশি কখনও করতে পারবেন না। তবে একই ধরনের অন্য কাজ করতে কোন বাধা নেই।
  • কাজ না বুঝে কখনও কাজ জমা দিবেন না। প্রতিটি কাজের শেষে ক্লায়েন্ট আপনার কাজ পছন্দ হলে "Satisfied" দিবে, অথবা অপছন্দ হলে "Not Satisfied" রেটিং দিবে। এই দুই ধরনের রেটিং এর তুলনাকে "Success Rate" বলা হয়। গত ৩০ দিনে আপনি যদি ৫ টি কাজ সম্পন্ন করেন এবং সেক্ষেত্রে আপনার "Success Rate" যদি ৭৫% এর নিচে হয়, তাহলে পরবর্তী ১ থেকে ৩০ দিন আপনি আর কোন কাজ করতে পারবেন না। তাই শতভাগ নিশ্চিত হয়ে কোন কাজ করা উচিৎ এবং কাজ শেষে ক্লায়েন্টের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রমাণ উপস্থাপন করা আবশ্যক।
  • কখনও যদি "Success Rate" ৭৫% এর কম হয়ে যায়, তাহলে হতাশ না হয়ে দুই-একদিন অপেক্ষা করে আবার কাজ করা যায় কিনা চেষ্টা করে দেখুন।
  • নতুন ব্যবহারকারীরা প্রথম প্রথম একদিনে সর্বোচ্চ ৫ টি কাজ করতে পারবেন। এরপর ক্লায়েন্টের রেটিং এর জন্য অপেক্ষা করতে হবে। ১০ টি কাজ করার পর এই সীমাটি আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পাবে।
  • কখনও যদি মনে করেন আপনি যথাযথভাবে কাজ করেছেন কিন্তু ক্লায়েন্ট আপনাকে "Not Satisfied" রেটিং দিয়েছে তাহলে "Submit a Complain" লিংকের মাধ্যমে আপনার অভিযোগ সাইটের কর্তৃপক্ষকে জানাতে পারবেন।
  • কাজের প্রমাণ হিসেবে কখনও ভূয়া তথ্য প্রদান করবেন না, এ ধরনের কাজ তিনবার করলে একাউন্ট বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
  • যে সকল কাজে IP এড্রেস দিতে হয় সেসব কাজ না করাই ভাল। কারণ আমাদের দেশের ইন্টারনেট প্রোভাইডাররা গ্রাহকদেরকে শেয়ারকৃত IP এড্রেস দিয়ে থাকে। ফলে আপনার মত একই ধরনের ইন্টারনেট সংযোগ আছে এরকম কেউ সেই কাজটি পূর্বে করে থাকলে ক্লায়েন্ট আপনার কাজ গ্রহণ করবে না। আমাদের দেশে বিশষত গ্রামীণফোন বা সিটিসেলের ইন্টারনেট ব্যবহাকারী বেশি হওয়ায় এই সমস্যাটা তাদের ক্ষেত্রে বেশি হবে।

অর্থ উত্তোলন:

  • শুধুমাত্র "Satisfied" রেটিং পেলেই সেই কাজের টাকা আপনার একাউন্টের ব্যালেন্সের সাথে যুক্ত হবে।
  • চারটি পেমেন্ট পদ্ধতির যে কোনটিতে টাকা তুলতে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি দিতে হয়। চেকের ক্ষেত্রে ৪.৫০ ডলার, পেপালের ক্ষেত্রে ৬%, মানিবুকার্স এবং এলার্টপে পদ্ধতিতে ৬.৫% ফি দিতে হয়।
  • একাউন্টের ব্যালেন্স ৯ ডলারের উপর হলেই কেবলমাত্র টাকা তুলতে পারবেন। সাথে ফি দেবার জন্য পর্যাপ্ত অর্থ একাউন্টে থাকতে হবে।
  • প্রথম Withdraw করার আবেদনের সময় আপনার বাসার ঠিকানায় চিঠির মাধ্যমে একটি PIN নাম্বার পাঠানো হবে। এই নাম্বারটি পরবর্তীতে সাইটে প্রবেশ করাতে হবে। কেউ একাধিক একাউন্ট তৈরি করেছে কিনা তা যাচাই করতে এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করা হয়। PIN নাম্বারের চিঠিটি আসতে ২০ থেকে ২৫ দিন সময় লাগতে পারে।
  • ঠিকানা যাচাই করার পর পরবর্তী Withdraw আবেদনের ৩০ দিনের মধ্যে আপনাকে মূল্য পরিশোধ করা হবে। 

আমাদের দেশের অনেক ফ্রিল্যান্সাররা ইতিমধ্যে এই সাইটে কাজ করছেন এবং তারা সাইট থেকে নিয়মিত টাকা পাচ্ছেন। তবে একটা বাস্তব সত্য হচ্ছে এই সাইট থেকে খুব বেশি পরিমাণে আয় করা যায় না। যারা পড়ালেখা বা অন্য কাজের পাশাপাশি ইন্টারনেট থেকে বাড়তি আয় করতে চান তাদের জন্য এই সাইট অবশ্যই আয়ের একটি ভাল উপায় হতে পারে। এই সাইটের জনপ্রিয়তা এত বেশি যে, ইদানিংকালে এই সাইটকে অনুকরণ করে আরো অনেক ওয়েবসাইট চালু হয়েছে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেwww.minuteworkers.comwww.rapidworkers.comwww.minijobz.com ইত্যাদি। তবে সেই সাইটগুলো থেকে মাইক্রোওয়ার্কারসের মত আসলেই টাকা পাওয়া যায় কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায় নি। 



বর্তমানে ওডেস্ক (www.oDesk.com) মার্কেটপ্লেসে বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সররদের অবস্থান বেশ সন্তোষজনক। ওডেস্কে যে কয়জন ফ্রিল্যান্সার সফলতার সাথে কাজ করছেন তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে "আলফা ডিজিটাল" নামক একটি টিম। বর্তমানে এই টিমের সদস্য সংখ্যা ৫০ এর কাছাকাছি। কয়েকমাস আগেও এই গ্রুপটি ওডেস্কের শীর্ষ দশের মধ্যে সপ্তম স্থানে অবস্থান করছিল। গত বছরের এপ্রিলে গঠিত হয়ে মাত্র এক বছরে তারা এ পর্যন্ত ৩১৮ টি প্রজেক্ট সম্পন্ন করেছে এবং মোট ১৩ হাজার ঘন্টার উপর কাজ করেছে। এই মূহুর্তে তারা একসাথে ৭৫ টি প্রজেক্টে কাজ করছে। এই টিমের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হচ্ছেন মামুনুর রশিদ নামক একজন ফ্রিল্যান্সার। ওডেস্কে এই সফলতা নিয়ে কথা বলেছিলাম তার সাথে। জানিয়েছেন এই সফলতার পেছনের সকল প্রচেষ্টার কথা।

মামুনুর রশিদ পড়ালেখা করেছেন ঢাকায় অবস্থিত একটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে। জন্মসূত্রে বরিশালের ছেলে। বর্তমানে বাবার চাকুরীর সুবাদে এখন খুলনায় বসবাস করছেন। সেখানে বসেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে এত বড় একটা টিম পরিচালনা করছেন। মামুনুর রশিদের কম্পিউটারের সাথে পরিচয় ২০০১ সালে, S.S.C পরীক্ষার পর থেকে। নিজের আগ্রহ এবং বাবার উৎসাহে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়ালেখা করেছেন। পড়ালেখা শেষ করে ঢাকায় একটি প্রতিষ্ঠানে এবং পরবর্তীতে খুলনায় একটি আঞ্চলিক পত্রিকায় কিছুদিন কাজও করেছেন।

ফ্রিল্যান্সিং এবং আউটসোর্সিং সম্পর্কে প্রথম জানতে পারেন একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকার ফিচার থেকে। এরপর www.odesk.comwww.freelancer.com এবংwww.rentacoder.com এ একাউন্ট তৈরি করে নেন। কিন্তু প্রথম অবস্থায় অনেক বিড (Bid) করার পরও কাজ না পাবার কারণে ফ্রিল্যান্সিং আর করা হয় নি। বছর দেড়েক পরে "কম্পিউটার জগৎ" ম্যাগাজিনে ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে একটা লেখা পড়ে এ বিষয়ে পুনরায় আগ্রহী হয়ে ওঠেন। এবারে নিজের একটি ভাল প্রোফাইল তৈরি করেন এবং এলোমেলোভাবে বিড না করে প্রতিটি প্রজেক্ট ভালভাবে বুঝে বিড করা শুরু করেন। ৪ দিন পর এক সাথে দুটি প্রজেক্ট পেয়ে যান। প্রথম প্রথম ডাটা এন্ট্রি দিয়ে শুরু করেছিলেন। বর্তমানে Project Manager, Wordpress, Magento Shopping Cart, X-Cart Shopping Cart, Zen Cart Shopping Cart এর কাজ গুলো করে থাকেন। কাজ করার সময় সততা, কাজ এর গুনগত মান এবং ডেড লাইন এর দিকে যথাসম্ভব সর্তক থাকেন।

জানতে চেয়েছিলাম ওডেস্কে টিম কেন তৈরি করলেন। জানালেন ওডেস্কে কাজ শুরু করার মাত্র ২ মাস পর প্রচুর পরিমান কাজ পেতে শুরু করেন, যা একার পক্ষে সম্পন্ন করা অসম্ভব হয়ে গেল। প্রথম দিকে ক্লায়েন্টদের ফিরিয়ে দিতেন, কিন্তু পরে টিম করার কথা ভাবলেন।

সবচেয়ে মজার বিষয় হল টিমের সদস্যদের সবাইকে অনলাইন থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে চ্যাট করার জন্য ইয়াহু এবং স্কাইপ সফটওয়্যার ব্যবহার করে থাকেন। আর সদস্যদের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলার জন্য সিটিসেল ব্যবহার করে থাকেন। প্রজেক্টের নির্দেশাবলী বোঝানোর জন্য টিম ভিউয়ার সফটওয়্যার ব্যবহার করেন। সকল সদস্য ও সকল প্রজেক্ট পরিচালনা করার জন্য টিমে একজন ম্যানেজার এবং চারজন সুপারভাইজার রয়েছে। অনলাইন থেকে নতুন অদক্ষ সদস্য সংগ্রহ করা হয় এবং তাদের ট্রেনিং দিয়ে দক্ষ করে তোলা হয়। অবশ্য এর জন্য তাদের কাছ থেকে কোন প্রকার টাকা নেওয়া হয় না। বর্তমানে "আলফা ডিজিটাল" টিম ২৫-৩০ জন ক্লায়েন্টের সাথে নিয়মিত কাজ করছে। কাজের মধ্যে রয়েছে Data Entry, Personal Assistant, Web Research, Email Response Handling, Advertising, Email Marketing, Social Media Marketing, Search Engine Optimization, Search Engine Marketing, Social Media Marketing, Market Research And Surveys, Web Design এবং Wordpress।

Joomla


বর্তমান সময়ে কম্পিউটারে আমাদের দৈনন্দিন কর্মকান্ডগুলো হয়ে পড়ছে ইন্টারনেট নির্ভর। ওয়েব এপ্লিকেশনগুলো ধীরে ধীরে ডেস্কটপ এপ্লিকেশনের স্থান দখল করে নিচ্ছে। ছোট বড় যে কোন ধরনের ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি ওয়েবসাইট থাকাটা হয়ে পড়ছে বাধ্যতামূলক। যাদের প্রোগ্রামিং জানা আছে তারা হয়ত নিজের প্রতিষ্ঠানের জন্য ওয়েবসাইট নিজেই তৈরি করে নিতে পারবেন। তবে অন্যদের জন্য একটি ওয়েবসাইট তৈরির খরচ কিন্তু নেহায়েত কম নয়।

যুগের এই চাহিদা মেটাতে জুমলা (Joomla) হচ্ছে এমন একটি সফটওয়্যার যা দিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ ওয়েসাইট তৈরি করা যাবে কোন রকমের প্রোগ্রামিং এবং টেকনিক্যাল জ্ঞান ছাড়াই। জুমলা হচ্ছে একটি কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (CMS)। কন্টেন্ট বলতে বোঝায় লেখা, ছবি, শব্দ, ভিডিও ইত্যাদি। জুমলার অসংখ্য বৈশিষ্ঠ্যের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে এর সহজ ব্যবহারযোগ্যতা এবং এটি দিয়ে যে কোন ধরনের ওয়েবসাইট তৈরির ক্ষমতা। জুমলা দিয়ে ইকমার্স ওয়েবসাইট থেকে শুরু করে অনলাইন ম্যাগাজিন, সংবাদপত্রের ওয়েবসাইট, সরকারী/বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট, ছোট-বড় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট, ব্যক্তিগত ও পারিবারিক ওয়েবসাইট খুব সহজেই তৈরি করা যায়। সর্বোপরি জুমলা হচ্ছে ওপেন সোর্স যা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ব্যবহার করা যায়।
চিত্র: একটি জুমলা সাইটের হোমপেইজ

www.joomla.org ওয়েবসাইট থেকে বিনামূল্যে জুমলা ডাউনলোড করা যাবে। জুমলা তৈরি করা হয়েছে PHP এবং MySQL এর সমন্বয়ে। তাই জুমলা ইন্সটল করার পূর্বে কম্পিউটারে একটি ওয়েব সার্ভার ইন্সটল করে নিতে হবে। জনপ্রিয় একটি ওয়েব সার্ভার সফটওয়্যার হচ্ছে XAMPP। কম্পিউটারে জুমলা ইন্সটল করার পূর্ণাঙ্গ দিকনির্দেশনা পাওয়া যাবেhelp.joomla.org সাইট থেকে।

চিত্র: জুমলার এডমিনিষ্ট্রেশন প্যানেল
জুমলার এক্সটেনশন
যদিও জুমলাকে সাধারণভাবে কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম বলা হয়, তবে জুমলার ব্যবহার শুধুমাত্র তথ্য ব্যবস্থাপনার উপরই সীমাবদ্ধ নয়। বিভিন্ন এক্সটেনশন (Extension) যোগ করে এটিকে যে কোন ধরনের ওয়েবসাইটে রূপান্তর করা যায়। এক্সটেনশন হচ্ছে অতিরিক্ত প্রোগ্রাম যা জুমলাকে নতুন নতুন বৈশিষ্ঠ্য দান করে। এই এক্সটেনশনগুলো জুমলার ব্যবহারকারীরাই তৈরি করে থাকে যা extensions.joomla.org সাইট থেকে বিনামূল্যে ডাউনলোড করা যায়। জুমলাতে একটি নতুন এক্সটেনশন যুক্ত করা খুবই সহজ, অনেকটা কোন অপারেটিং সিস্টেমে একটি সফটওয়্যার ইন্সটল করার মতই। এক্সটেনশনের zip ফাইলকে এডমিনিস্ট্রেশন প্যানেল থেকে আপলোড করে দিলেই হল। জুমলা পাঁচ ধরনের এক্সটেনশন সাপোর্ট করে: কম্পোনেন্ট, মডিউল, প্লাগইন, টেম্পলেট এবং ল্যাঙ্গুয়েজ।
১) কম্পোনেন্ট: জুমলা হচ্ছে একটি ওয়েব এপ্লিকেশন, আর কম্পোনেন্ট হচ্ছে জুমলার অভ্যন্তরে আরেকটি এপ্লিকেশন। কম্পোনেন্টগুলো জুমলার API এর উপর ভিত্তি করেই তৈরি করা হয়ে থাকে। জুমলাকে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে কল্পনা করলে, জুমলার “কন্টেন্ট কম্পোনেন্ট” কে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড হিসেবে বলা যায়। তবে অপারেটিং সিস্টেমে যেখানে এক সাথে একাধিক প্রোগ্রাম চালানো যায়, সেখানে জুমলার একটি পৃষ্টায় মাত্র একটি কম্পোনেন্ট লোড হয়। কম্পোনেন্টটি সেই পৃষ্ঠার মূল কাজগুলো সম্পন্ন করে থাকে।

২) মডিউল: মডিউলগুলো কম্পোনেন্টের বাইরে অবস্থান করে জুমলাকে অতিরিক্ত বৈশিষ্ঠ্য প্রদান করে। মডিউল সাধারণত একটি নির্দিষ্ট কাজের জন্য ব্যবহৃত হয়, যেমন মেনু, লিস্ট, ব্যানার প্রদর্শন করা ইত্যাদি।

৩) প্লাগইন: প্লাগইন এর নানা ব্যবহার রয়েছে। তবে সাধারণত একটি কম্পোনেন্টের ক্ষমতা বাড়াতে প্লাগইন ব্যবহৃত হয়ে থাকে। উদাহরণসরূপ TinyMCE টেক্সট এডিটর প্লাগইন এর সাহায্যে অনেকটা মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের মত করে লেখা সম্পাদন করা যায়।

৪) টেম্পলেট: টেম্পলেট একটি সাইটের লেআউট এবং ডিজাইন প্রদান করে থাকে। HTML/CSS দিয়ে তৈরি করা ডিজাইনকে একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরণ করে খুব সহজেই জুমলার টেম্পলেটে রূপান্তর করা যায়। বিভিন্ন সাইটে জুমলার ফ্রি টেম্পলেট পাওয়া যায়, যা একটি মাত্র ক্লিকের মাধ্যমেই সাইটে ইন্সটল করা যায়। জুমলার ফ্রি টেম্পলেট পাওয়া যায় এরকম কয়েকটি সাইট হচ্ছে www.joomla24.com, www.freetemplatehome.com, www.joomlatp.com।

৫) ল্যাঙ্গুয়েজ: বাংলাসহ বিশ্বের ৬০টিরও অধিক ভাষায় জুমলা পাওয়া যায়। অন্যান্য এক্সটেনশন যোগ করার মত জুমলায় ভাষা পরিবর্তন করাও খুব সহজ।



জুমলার এক্সটেনশন ওয়েবসাইটে এই মূহুর্তে ৬৬৭০টি এক্সটেনশন পাওয়া যাচ্ছে। এদের মধ্য থেকে জনপ্রিয় কয়েকটি এক্সটেনশনের সাথে পরিচিত হওয়া যাক।

VirtuMart:ভার্চুমার্ট এক্সটেনশনের সাহায্যে জুমলাকে একটি পূর্ণাঙ্গ ইকমার্স সাইটে রূপান্তর করা যায়। এর শক্তিশালী এডমিনিস্ট্রেশন প্যানেলের সাহায্যে অসীম সংখ্যক ক্যাটাগরি, প্রোডাক্ট, অর্ডার, ডিসকাউন্ট, কাস্টমার ব্যবস্থাপনা করা যায়। ভার্চুমার্ট প্রায় সকল জনপ্রিয় পেমেন্ট এবং শিপিং মডিউল সাপোর্ট করে। www.virtuemart.net সাইট থেকে জুমলার আলাদা এক্সটেশন হিসেবে অথবা জুমলায় পূর্ব থেকে ইন্সটল করা অবস্থায় একে ডাউনলোড করা যায়।

JCE: এটি হচ্ছে একটি শক্তিশালী টেক্টট এডিটর যা TinyMCE এডিটরের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। এই এডিটরের সাথে মিডিয়া, ফাইল ও লিংক ব্যবস্থাপনা, প্লাগইন সাপোর্ট এবং এডিটেরের সেটিং পরিবর্তনের জন্য একটি উন্নত এডমিনিস্ট্রেশন প্যানেল রয়েছে।

Community Builder: এই এক্সটেনশনটি জুমলার ইউজার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমকে বর্ধিত করে জুমলাকে কমিউনিটি ওয়েবসাইটে পরিবর্তন করে। এর মূল ফিচারগুলো হল - প্রোফাইলে অতিরিক্ত ফিল্ড যুক্ত করা, উন্নত রেজিষ্ট্রেশন পদ্ধতি, ব্যবহারকারীর লিস্ট ইত্যাদি।

AllVideos: এটি একটি অপরিহার্য অডিও/ভিডিও ম্যানেজমেন্ট এক্সটেনশন। এটি প্রায় সকল ধরনের মিডিয়া ফাইল চালাতে পারে। পাশাপাশি Youtube, Metacafe, Vimeo এর মত জনপ্রিয় সাইটের ভিডিও জুমলায় যুক্ত করতে পারে।

Phoca Gallery: এটি হচ্ছে একটি চমৎকার ও দৃষ্টিনন্দন ফটো গ্যালারী। এই কম্পোনেন্টটি ছবিকে স্লাইডশো এর মাধ্যমে দেখাতে পারে। একটি আধুনিক ফটো গ্যালারীর সকল বৈশিষ্ট্যই এতে রয়েছে।

JoomFish: একাধিক ভাষায় ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য এটি একটি অপরিহার্য এক্সটেনশন। এর সাহায্যে জুমলার যে কোন কন্টেন্টকে খুব সহজেই অনুবাদ করা যায়।

Kunena: এটি হচ্ছে জুমলার প্রধান ফোরাম কম্পোনেন্ট। এর সাহায্যে খুব সহজেই কমিউনিটি ভিত্তিক ফোরাম সাইট তৈরি করা যায়। এক্সটেনশনটি গত দুই বছরে সাড়ে আট লক্ষবার ডাউনলোড হয়েছে, যা এর জনপ্রিয়তা সহজেই প্রমাণ করে।

ChronoForms: যেকোন ধরনের ফর্ম তৈরির জন্য এটি একটি অসাধারণ এক্সটেনশন। এই কম্পোনেন্টের সাহায্যে ড্রাগ-এন্ড-ড্রপ পদ্ধতিতে ফর্ম তৈরি করা যায়। অন্যান্য এক্সটেনশনের মত এটিও বিনামূল্যে ব্যবহার করা যায়, তবে প্রতিটি ফর্মের নিচে ডেভেলপারের সাইটের লিংক থাকে। ডেভেলপারকে ছোট একটি ফি দিয়ে লিংকটি সরানো যায়।

Extented Menu: এই মডিউলের সাহায্যে CSS ভিত্তিক দৃষ্টিনন্দন মেন্যু তৈরি করা। মেন্যুর ভেতরে সাব-মেন্যুও খুব সহজে এটি দিয়ে তৈরি করা যায়।

JComments: এই এক্সটেনশন দিয়ে সাইটে মন্তব্য দেয়ার বৈশিষ্ট্য যুক্ত করা যায়। এটি একটি Ajax ভিত্তিক কমেন্ট সিস্টেম যা Smiles, BBCode এবং Avatar সাপোর্ট করে।


ফ্রিল্যান্সারদের জন্য জুমলা হতে পারে আয়ের প্রধান উৎস। আউটসোর্সিং এর কাজের পাশাপাশী দেশী ক্লায়েন্টদের কাছেও জুমলার ভাল কদর রয়েছে। আমাদের দেশে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন ব্যাংকের সহায়তায় দেশীয় ইকমার্সের প্লাটফর্ম তৈরি হয়ে গেছে। এক্ষেত্রে জুমলা দিয়ে খুব সহজেই ইকমার্স ওয়েবসাইটের চাহিদা পূরণ করা যাবে। অন্যদিকে অনলাইনে প্রায় সকল মার্কেটপ্লেসগুলোতেই জুমলার কাজ পাওয়া যায়। তাছাড়া জুমল্যান্সার্স (www.joomlancers.com) নামে একটি আউটসোর্সিং মার্কেটপ্লেস রয়েছে যেখানে শুধুমাত্র জুমলার কাজ পাওয়া যায়

Get a freelancer


গেট-এ-ফ্রিল্যান্সারে একটি প্রজেক্টের পৃষ্ঠায় বিভিন্ন ধরনের তথ্য থাকে, তার মধ্য থেকে উল্লেখযোগ্য অংশগুলো হচ্ছে:
  • Budget: প্রজেক্টে বায়ারের বাজেট এখানে প্রদর্শন করা হয়। বিড করার সময় আপনাকে এই সীমার মধ্যে মূল্য উল্লেখ করতে হবে।
  • Project Creator: এই অংশে বায়ারের নাম, রেটিং, বায়ার সম্পর্কে অন্যান্য প্রোভাইডারের ফিডব্যাক/রিভিউ ইত্যাদি প্রদর্শন করে। বায়ারকে প্রাইভেট ম্যাসেজ জন্য Post PM নামক একটি বাটন এই অংশে পাওয়া যাবে। প্রজেক্টে বিড করার পরই কেবল প্রাইভেট ম্যাসেজ দিতে পারবেন।
  • Description: প্রজেক্টের বিবরণ এই অংশে পাওয়া যাবে। তবে অনেক সময় বায়ার সম্পূর্ণ বিবরণ এই অংশে প্রকাশ করে না। তাই বিড করার পর বায়ারকে PM এর মাধ্যমে যোগাযোগ করে প্রজেক্টের সম্পূর্ণ বিবরণ জেনে নিন।
  • View Project Clarification Board: প্রজেক্টের কোন রিকোয়ারমেন্ট বোঝতে না পারলে এই অংশের মাধ্যমে আপনি বায়ারের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন যা অন্য প্রোভাইডারাও দেখতে পারবে এবং তারাও তাদের মন্তব্য দিতে পারবে। সকল প্রোভাইডারের অংশগ্রহনের মাধ্যমে প্রজেক্টের রিকোয়ারমেন্ট পরিষ্কার করাই হচ্ছে এই অংশের মূল উদ্দেশ্য।
  • Bid on This Project: সর্বশেষে প্রজেক্টে বিড করতে এই বাটনে ক্লিক করুন। একটি নতুন উইন্ডো আসবে যেখানে তিনটি টেক্সবক্স দেখতে পাবেন। প্রথমটি বিডের মূল্যের জন্য, দ্বিতীয়টি হচ্ছে এই প্রজেক্টটি আপনি কতদিনে সম্পন্ন করতে পারবেন তা উল্লেখ করার জন্য এবং সর্বশেষ টেক্সটবক্সে বিড সংক্রান্ত আপনার মস্তব্য বা আপনার নিজের সম্পর্কে কোন তথ্য প্রদানের জন্য।
রেন্ট-এ-কোডার সাইটের সাথে এই সাইটের মূল পার্থক্য হল এখানে বিড উন্মুক্ত থাকে। অর্থাৎ একজন প্রোভাইডারের বিড করা অর্থ মূল্য, ডেডলাইন সময়, বিড করার সময় মন্তব্য অন্য প্রোভাইডার দেখতে পারে। এটি একদিকে যেমন প্রোভাইডারদের মধ্যে প্রতিযোগিতার মনোভাব প্রকাশ করে অন্যদিকে নতুনদের জন্য একটু অসুবিধার সৃষ্টি করে। তাই অনেকে বিড করার সময় একটি গড় মূল্য উল্লেখ করে আর Post PM এর মাধ্যমে বায়ারকে ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করে কম মূল্যে কাজ করে দেবার প্রস্তাব করে। তবে মনে রাখবেন বায়ার যদি আপনার প্রাইভেট মেসেজটি চেক না করে, তাহলে সে জানতেও পারবেনা আপনি কত ডলারে কাজ করতে ইচ্ছুক। তাই এটি অনেক সময় বায়ারের ইচ্ছার উপর নির্ভর করে থাকে।
Aug03
গেট-এ-ফ্রিল্যান্সার সাইটে লগইন করার পর Manage Account নামক পৃষ্ঠা থেকে আপনার একাউন্টের বিভিন্ন তথ্য পরিবর্তন, বিড করা প্রজেক্ট, একাউন্ট ব্যালেন্স, টাকা উত্তোলন ইত্যাদি করতে পারবেন। ম্যানেজ একাউন্ট পৃষ্ঠাটি কয়েকটি ভাগে বিভক্ত:

News for members: সাইটের সর্বশেষ খবর, বিভিন্ন ধরনের সাহায্যকারী তথ্য এই পৃষ্ঠায় পাওয়া যাবে যা নতুন ইউজারদের অবশ্যই ভালভাবে পড়ে নেয়া উচিত।

Account Details: এই পৃষ্ঠায় বিভিন্ন ধরনের সাহায্যকারী নিবন্ধের লিংক, আপনার ব্যালেন্সের সর্বশেষ অবস্হা, আপনার প্রোফাইল পৃষ্ঠার লিংক, গোল্ড মেম্বার হবার লিংক, অর্থ উত্তোলন করার লিংক ইত্যাদি রয়েছে।

Edit Account Info: এই পৃষ্ঠায় আপনার ব্যক্তিগত তথ্য এবং প্রোফাইলের তথ্য পরিবর্তন করতে পারবেন।

Buyer Activity: ইচ্ছে করলে আপনি নিজেও বায়ার হিসেবে প্রজেক্ট সাবমিট করে অন্য প্রোভাইডার দিয়ে কাজ করিয়ে নিতে পারেন। হতে পারে আপনি বড় একটি প্রজেক্টের কোন একটি অংশ করতে পারছেন না, তখন ওই অংশের জন্য একটি নতুন প্রজেক্ট তৈরি করে অন্য প্রোভাইডারের সাহায্য নিতে পারেন। অথবা আপনার ব্যক্তিগত কোন কাজ সম্পন্ন করার জন্য বায়ার হিসেবে সাইটে আত্মপ্রকাশ করতে পারেন।

Provider Activity: এই পৃষ্ঠায় প্রোভাইডার হিসেবে আপনার বিড করা প্রজেক্ট, রেটিং, বায়ারের রিভিউ ইত্যাদি ব্যবস্থাপনা করতে পারবেন।

Affiliate Activity: কাজ না করেও এই সাইট থেকে আপনি আয় করতে পারেন, আর তা হচ্ছে অন্য ইউজারকে এই সাইটে রেজিষ্ট্রেশন করিয়ে। আর তার জন্য এই অংশে একটি লিংক পাবেন যা ইমেইল করে বা আপনার ওয়েবসাইটে রেখে অন্য ইউজারকে রেজিষ্ট্রেশন করার আমন্ত্রণ জানাতে পারেন। আপনার আমন্ত্রিত ইউজার যা আয় করবে তার একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ আপনি পাবেন।

Payment Transactions: এই পৃষ্ঠায় অর্থ সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য পাবেন। এর মধ্যে রয়েছে টাকা উত্তোলন, ব্যালেন্স দেখা, Escrow Payment, অন্য ইউজারের একাউন্টে অর্থ স্থানান্তর ইত্যাদি।
Aug02
গেট-এ-ফ্রিল্যান্সার সাইটটিতে রেজিষ্ট্রেশন করার জন্য মেন্যু থেকে Sign Up নামক লিংকটিতে ক্লিক করুন এবং নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন -

Step 1: New User Signup
  • Username: এই ধাপে একটি Username প্রদান করুন যা পরবর্তীতে সাইটে লগইন করার সময় প্রয়োজন পড়বে।
  • E-mail Address: আপনার ইমেইল এড্রেসটি প্রদান করুন।
  • Terms & Conditions: সাইটের শর্তাবলীর সাথে সম্মত হলে এটি সিলেক্ট করুন।
  • Gold Member: গোল্ড মেম্বার হতে চাইলে এটি সিলেক্ট করুন। তবে রেজিষ্ট্রেশন করার সময় এটি সিলেক্ট করার প্রয়োজন নেই, পরবর্তীতে যে কোন সময় আপনি গোল্ড মেম্বার হতে পারবেন।
Step 2: Email Verification
প্রথম ধাপ সফলভাবে সম্পন্ন করার পর আপনাকে একটি নিশ্চিতকরণ ইমেইল পাঠানো হবে। ইমেইলের সাথে একটি লিংক এবং একটি কোড পাঠানো হবে। এই ধাপটি আপনি যেকোন এক পদ্ধতিতে সম্পন্ন করতে পারেন - নিশ্চিতকরণ লিংকটিতে ক্লিক করে অথবা কোডটি কপি করে সাইটে পেস্ট করার মাধ্যমে। এই পদ্ধতিতে আপনি সঠিক ইমেইল ঠিকানা প্রদান করেছেন কিনা তা যাচাই করা হয়।

Step 3: User Profile
সর্বশেষ এই ধাপটি একটু সময় নিয়ে সঠিকভাবে সম্পন্ন করুন। এই অংশ কয়েকটি ভাগে বিভক্ত -
  • Account details: এই অংশে আপনার পূর্ণ নাম, কোম্পানির নাম অথবা ডাক নাম এবং লগইন করার জন্য পাসওয়ার্ড প্রদান করুন।
  • Address details: আপনার পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা প্রদান করুন।
  • Notifications: ইমেইলের মাধ্যমে নতুন প্রজেক্ট সম্পর্কে জানতে চাইলে এটি সিলেক্ট করুন।
  • Service Provider profile: এই অংশে আপনি যে বিষয়গুলোতে দক্ষ তা উল্লেখ করুন এবং কাজের অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে একটি প্রোফাইল তৈরি করুন। বায়ার এই প্রোফাইলের উপর ভিত্তি করে আপনাকে কাজ দিবে। প্রোফাইলের সাথে আপনার ছবি বা আপনার কোম্পানির লোগো প্রদান করতে পারেন।
Aug01
গেট-এ-ফ্রিল্যান্সার হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়ী এবং ফ্রিল্যান্সার বা স্বাধীনভাবে যারা কাজ করে তাদের জন্য অনলাইনে সাক্ষাতের স্থান। এই সাইটে একজন ক্রেতা বা বায়ার প্রজেক্ট সাবমিট করে এবং একজন ফ্রিল্যান্সার একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী সার্ভিস প্রদান করে। এই সাইটে একজন ফ্রিল্যান্সারকে বলা হয় 'প্রোভাইডার'। সাইটের কমিশন কম হওয়ায় এবং গোল্ড মেম্বার, ট্রায়াল প্রজেক্ট ইত্যাদি সুযোগ সুবিধা থাকায় প্রতিদিন সারা পৃথিবীর অসংখ্য ফ্রিল্যান্সার এই সাইটে রেজিষ্ট্রেশন করছে। বর্তমানে এই সাইটে মোট ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা হচ্ছে ৭ লক্ষের উপরে। সাইটে প্রজেক্টের সংখ্যাও নেহায়েত কম নয়, প্রতিদিন বিভিন্ন বিভাগে অসংখ্য নতুন নতুন কাজ আছে। প্রতিদিন গড়ে ৩,০০০ কাজ এই সাইটে পাওয়া যাবে। প্রজেক্টের বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে প্রোগ্রামিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ডাটা এন্ট্রি, ডাটা প্রসেসিং, কপিরাইটিং, ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট, মার্কেট রিসার্চ, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, ওয়েব প্রোমোশন ইত্যাদি। অর্থাৎ প্রায় সকল ধরনের কম্পিউটার ব্যবহারকারীর জন্য এই সাইটে কাজ পাওয়া যায়।

টাকা উত্তোলনের উপায়সমূহ
গেট-এ-ফ্রিল্যান্সার সাইট থেকে বিভিন্ন উপায়ে টাকা উত্তোলন করা যায়। তার মধ্যে রয়েছে - Payoneer Debit Card, Moneybookers, Wire Transfer ইত্যাদি। টাকা উত্তোলনের সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে পেওনার ডেবিট কার্ডটি। সাইটে আপনার একাউন্টে ৩০ ডলার থাকলে আপনি এই কার্ডের জন্য রেজিষ্ট্রেশন করতে পারবেন। এরপর ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে এই মাস্টারকার্ডটি আপনার ঠিকানায় পৌছে যাবে। এটি দিয়ে বিভিন্ন ব্যংকের ATM থেকে সরাসরি টাকা উত্তোলন করতে পারবেন।

গোল্ড মেম্বারদের জন্য সুবিধাসমূহ
গেট-এ-ফ্রিল্যান্সার সাইটে ইউজারদের জন্য গোল্ড মেম্বার নামে একটি বিশেষ ব্যবস্থা চালু আছে। গোল্ড মেম্বার হতে আপনাকে প্রতি মাসে ১২ ডলার পরিশোধ করতে হবে। এর সুবিধাগুলো হচ্ছে -
  • প্রতি প্রজেক্ট শেষে সাইটকে কোন কমিশন প্রদান করতে হয় না। অন্যদিকে সাধারণ ব্যবহারকারীকে প্রতি প্রজেক্টের মোট মূল্যের ১০% কমিশন হিসেবে দিতে হয়।
  • সাধারণ ব্যবহারকারী হলে আপনি মাসে ১৫ টির বেশি বিড করতে পারবেন না। অন্যদিকে গোল্ড মেম্বার হলে মাসে সর্বোচ্চ ১৬০ টি প্রজেক্টে বিড করতে পারবেন।
  • সাইটে অনেক প্রজেক্ট আছে যাতে শুধুমাত্র গোল্ড মেম্বারাই বিড করতে পারে।
  • গোল্ড মেম্বারদের নামের পাশে সবসময় একটি G চিহ্ন থাকে, যা তাদের গোল্ড মেম্বারশীপ প্রকাশ করে।
  • গোল্ড স্টেটাস থাকার কারনে গোল্ড মেম্বারদের অন্যদের চেয়ে প্রজেক্ট পাবার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

নতুনদের জন্য ট্রায়াল প্রজেক্ট
গেট-এ-ফ্রিল্যান্সার সাইটে 'ট্রায়াল প্রজেক্ট' নামে অনেক প্রজেক্ট পাওয়া যায় যাতে শুধুমাত্র একজন নতুন প্রোভাইডার বিড করতে পারে। ফলে এসব প্রজেক্টের মাধ্যমে নতুন ইউজাররা খুব সহজেই তাদের প্রথম কাজ সম্পন্ন করতে পারে। তবে একটি প্রজেক্ট সম্পন্ন করে বায়ারের রেটিং বা ফিডব্যাক পাবার পর আপনি আর কোন ট্রায়াল প্রজেক্টে বিড করতে পারবেন না। যেসব প্রজেক্টের নামের পাশে মানুষের ছবিযুক্ত আইকন থাকে, সেগুলো হচ্ছে ট্রায়াল প্রজেক্ট।  
  
প্রোভাইডারদের জন্য কয়েকটি গাইডলাইন
  • একটি প্রজেক্ট সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা না নিয়ে কাজ শুরু করা উচিত নয়। বায়ার তাদের চাহিদা বিড রিকোয়েস্টের সাথে সম্পূর্ণভাবে উল্লেখ নাও করতে পারে। তাই যতটুকু সম্ভব তাদেরকে প্রশ্ন করুন। তারপর প্রজেক্টের রিকোয়ারমেন্ট আপনার নিজের ভাষায় বায়ারকে লিখে জানান। এতে বায়ারের চাহিদা সম্পর্কে আপনি নিশ্চিত হতে পারবেন এবং কাজ করার সময় আপনার পরিশ্রম অনেকখানি কমে যাবে। প্রশ্ন করলে বায়ার খুশি হয় এবং আপনার আগ্রহ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারে।
  • একটি কাজ পাবার পর বায়ার সাধারণত Escrow নামক ফিচারের মাধ্যমে সাইটে প্রজেক্টের সম্পূর্ণ টাকা জমা রাখে। ফলে কাজ শেষে আপনার পাওনা টাকা সাথে সাথে পাবার সম্ভাবনা নিশ্চিত হয়। কোন কারনে টাকা জমা না রাখলে তাকে সাইটের Escrow তে টাকা জমা রাখতে অনুরোধ করুন। 
  • সম্পূর্ণ কাজকে কয়েকটি ধাপে ভাগ করুন এবং প্রতিটি ধাপ শেষ হবার পর পর বায়ারকে দেখান।
  • ডেডলাইন সময় শেষ হবার পূর্বেই সম্পূর্ণ কাজ সম্পন্ন করুন এবং বায়ারের কাছে পাঠিয়ে দিন।
  • বায়ারের কাছে কাজ পাঠানোর পূর্বে ভাল করে রিকোয়ারমেন্ট আরেকবার দেখে নিন এবং সম্পূর্ণ কাজ ভাল করে পরীক্ষা করুন।